আনিয়েস ভারদা
আনিয়েস ভারদা (ফরাসি : [aɲɛs vaʁda]; ৩০ মে ১৯২৮ - ২৯ মার্চ ২০১৯)[১] ছিলেন একজন বেলজিয়ামে জন্মগ্রহণকারী ফরাসি চলচ্চিত্র পরিচালক, আলোকচিত্রী ও চিত্রশিল্পী। তার কাজগুলো ১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকের প্রভাবশালী ফরাসি নবকল্লোল চলচ্চিত্র আন্দোলনের বিকাশে অগ্রদূত ও কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে।[২][৩] তার চলচ্চিত্রগুলো বিভিন্ন পরীক্ষণমূলক কৌশল অবলম্বন করে প্রামাণ্য বাস্তবতাবাদ, নারীবাদী বিষয়াবলি, ও অন্যান্য সামাজিক বিষয়াবলিকে কেন্দ্র করে নির্মিত।
আনিয়েস ভারদা | |
---|---|
Agnès Varda | |
জন্ম | আর্লেত ভারদা ৩০ মে ১৯২৮ |
মৃত্যু | ২৯ মার্চ ২০১৯ | (বয়স ৯০)
মাতৃশিক্ষায়তন | প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | চলচ্চিত্র পরিচালক, আলোকচিত্রী, চিত্রশিল্পী |
কর্মজীবন | ১৯৫১-২০১৯ |
দাম্পত্য সঙ্গী | জাক দ্যমি (বি. ১৯৬২; মৃ. ১৯৯০) |
সন্তান | রোজালি ভারদা মাতিও দ্যমি |
শব্দ প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতার কারণে যখন মূল বিষয়ের দৃশ্যধারণের পরিবর্তে সেট তৈরি করে ও অবস্থানের দৃশ্য অঙ্কন করে অভ্যন্তরীণ দৃশ্যধারণ করা হত, সে সময়ে তিনি সেই অবস্থানে গিয়ে শুটিং করতেন। এছাড়া অ-পেশাদার অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ ১৯৫০-এর দশকে ফরাসি চলচ্চিত্রে প্রথাবিরোধী ছিল। তিনি কান চলচ্চিত্র উৎসব থেকে সম্মানসূচক পাল্ম দর, ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব থেকে গোল্ডেন লায়ন, একাডেমি সম্মানসূচক পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাভারদা ১৯২৮ সালের ৩০শে মে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসের ইক্সেলেসে জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্মনাম আর্লেত ভারদা। তার পিতা ইউজিন জঁ ভারদা একজন প্রকৌশলী এবং মাতা ক্রিস্তিন (জন্ম পাস্কেত)।[৪] তার পিতা এশিয়া মাইনরের এক গ্রিক বাস্তুচ্যুত পরিবারের সদস্য ছিলেন এবং তার মাতা ফ্রান্সের সেতে জন্মগ্রহণ করেন। আনিয়েস তার পিতামাতার পাঁচ সন্তানের মধ্যে তৃতীয়। ১৮ বছর বয়সে তিনি আইনসিদ্ধভাবে তার নাম পরিবর্তন করে আনিয়েস রাখেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে তিনি তার পরিবারের বাকি সদস্যদের সাথে সেতে একটি নৌকায় থাকতেন। ভারদা লিস এ কলেজ ভিক্তর-দুরুইয়ে পড়াশোনা করেন এবং প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাহিত্য ও মনোবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[৫]
আলোকচিত্র কর্মজীবন
সম্পাদনাভারদা জাদুঘরের কিউরেটর হতে চেয়েছিলেন এবং একোল দ্যু লুভরে শিল্পকলার ইতিহাস বিষয়ে অধ্যয়ন করেন,[৫] কিন্তু এর পরিবর্তে তিনি ভোগিরার স্কুল অব ফটোগ্রাফিতে আলোকচিত্র বিষয়ে অধ্যয়ন করার সিদ্ধান্ত নেন।[৬] তিনি লেফট ব্যাংক চলচ্চিত্র ও ফরাসি নবকল্লোলের প্রধান কণ্ঠ হয়ে ওঠার পূর্বে একজন স্থির আলোকচিত্রী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি আলোকচিত্র ও চলচ্চিত্রের ধরনের মধ্যে একটি স্বচ্ছ মিথস্ক্রিয়া ধরে রাখেন, তার ভাষ্য অনুসারে, "আমি আলোকিচত্র তুলি বা আমি চলচ্চিত্র নির্মাণ করি। অথবা আমি চলচ্চিত্রে আলোকচিত্র স্থাপন করি, বা আলোকচিত্রে চলচ্চিত্র স্থাপন করি।"[৭]
ভারদা স্থির আলোকচিত্র মাধ্যমে তার শুরু বিষয়ে বর্ণনা করেন, "আমি সোজাসুজি আলোকচিত্র দিয়ে জীবনধারণ শুরু করি, অর্থ উপার্জনের জন্য আমি পারিবারিক ও বিবাহের আলোকচিত্র তুলতাম। কিন্তু অচিরেই আমি এমন কিছু করতে চেয়েছিলাম যাকে আমি নাম দিয়েছিলাম "কম্পোজিশন"।[৭] ১৯৫১ সালে তার বন্ধু জঁ ভিলার থিয়েটার ন্যাশনাল পপুলার চালু করেন এবং ভারদাকে প্রাতিষ্ঠানিক আলোকচিত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। সেখানে যোগদানের পূর্বে তিনি থিয়েটার ফেস্টিভাল অব অ্যাভিগননে মঞ্চ আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করতেন।[৫] তিনি ১৯৫১ থেকে ১৯৬১ সাল পর্যন্ত দশ বছর থিয়েটার ন্যাশনাল পপুলারে কাজ করেন, এবং এই সময়ে তার খ্যাতি ছড়িয়ে যায় ও এর ফলে তিনি ইউরোপ জুড়ে আলোকচিত্র-সাংবাদিকতার চাকরি পেতে থাকেন।[৬]
ভারদার স্থির আলোকচিত্র তার পরবর্তী কয়েকটি চলচ্চিত্রে প্রভাব ফেলে।[৮] তিনি বলেন, "যখন আমার প্রথম চলচ্চিত্র লা পোয়্যাঁত কুর্ত নির্মাণ করি, আমার কোন পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না, সহকারী হিসেবে কাজ করিনি, কোন চলচ্চিত্র স্কুলেও যায়নি - আমি যা কিছুর দৃশ্যধারণ করতে চেয়েছি তার সবকিছুর আলোকচিত্র তুলেছি, আলোকচিত্রগুলো দৃশ্যধারণের মডেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এবং আমি কেবল আলোকচিত্রের অভিজ্ঞতা থেকেই - বলতে গেলে, কোথায় ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে, কতটুকু দূরত্বে, কোন লেন্স ও কি আলো ব্যবহার করে? চলচ্চিত্র নির্মাণ শুরু করি।"
তিনি পরবর্তী কালে আরেকটি উদাহরণ টেনে বলেন:
আমি ১৯৮২ সালে উলিস নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করি, যা ১৯৫৪ সালে আমার তোলা একটি আলোকচিত্রের উপর ভিত্তি করে নির্মিত, যা আমি একই রকম নিম্ন ক্যামেরা দিয়ে নির্মাণ করি, এবং আমি উলিস শুরু করি এই কথা দিয়ে যে, 'আমি ছবিগুলোকে উপর থেকে নিচে দেখতাম।' মাঠে একটি ছাগলের ছবি আছে, অনেকটা নক্ষত্রপঞ্জির মত, এবং এটি আলোকচিত্রটির মূল ছিল। এই ক্যামেরাগুলো দিয়ে আপনি ছবিকে উপর থেকে নিচে ফ্রেম করতে পারেন, তাই আমি ক্যামেরা মধ্য দিয়ে তার মাথা ব্রাসাইকে দেখেছিলাম।[৭]
২০১০ সালে ভারদা নাথালি অবাদিয়া চিত্রশালায় যোগদান করেন।[৯]
চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মজীবন
সম্পাদনাভারদার চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মজীবন শুরু হয় ফরাসি নবকল্লোল শুরুর আগে থেকে, কিন্তু তাতে এই আন্দোলনের অনেক উপাদান জড়িত ছিল।[১০] আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করাকালীন ভারদা চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহী হন, যদিও তিনি বলেন যে তিনি এই মাধ্যম সম্পর্কে অল্পই জানতেন এবং পঁচিশ বছর বয়সে মাত্র বিশটির মত চলচ্চিত্র দেখেছিলেন। তিনি পরবর্তীকালে বলেন যে তিনি তার প্রথম চিত্রনাট্য লিখেছিলেন, "ঠিক যেভাবে একজন ব্যক্তি তার প্রথম বই লিখেন। যখন আমি এটি লেখা শেষ করি, আমি নিজেই এটি নিয়ে ভাবি: আমার এই পাণ্ডুলিপিতে দৃশ্যধারণ করতে হবে, এবং সেজন্য কয়েকজন বন্ধু ও আমি এটি নির্মাণের জন্য একত্রে কাজ করি।" তিনি দেখেন যে চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রক্রিয়া খুবই জটিল কারণ এতে উপন্যাস লেখার মত একই রকম স্বাধীনতা পাওয়া যায় না, যাই হোক তিনি বলেন যে তার কৌশল ছিল সহজাত ও নারীসুলভ। দ্য বিলিভারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন যে তিনি ঐতিহ্য ও ধ্রুপদী মানদণ্ডকে ছাপিয়ে এমন চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চেয়েছেন যা তার সময়কে ধরতে পারবে (যেমন লা পোয়্যাঁত কুর্ত)।[১১]
লা পোয়্যাঁত কুর্ত (১৯৫৪)
সম্পাদনাভারদা আলোকচিত্রশিল্প পছন্দ করতেন, পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্রে যেতেও আগ্রহী ছিলেন। ফরাসি জেলে গ্রাম লা পোয়্যাঁত কুর্তে তার এক অসুস্থ্য বন্ধুর জন্য কয়েকদিন ছবি তোলার পর ভারদা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রধারণের সিদ্ধান্ত নেন। এইভাবে ১৯৫৪ সালে একটি মফস্বল শহরে এক অসুখী দম্পতির সম্পর্ক নিয়ে নির্মিত ভারদার প্রথম চলচ্চিত্র লা পোয়্যাঁত কুর্ত (ফরাসি: La Pointe Courte) মুক্তি পায়। এই চলচ্চিত্রটি ফরাসি নবকল্লোলের অগ্রদূত হিসেবে বিবেচিত।[১২] এই সময়ে ভারদা তার সরবনের শিক্ষক গাস্তোঁ বাশলারে দর্শনের দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। তিনি মূলত তার 'লিমাজিনাতিওঁ দে মাতিয়ের' তত্ত্বে আকৃষ্ট ছিলেন, যে তত্ত্বে বলা হয় বস্তুগত বিশ্বের এক প্রকার মনোবিশ্লেষণের কঠিন উপাদানগুলোতে ব্যক্তিক বৈশিষ্টগুলো পাওয়া যায়। লা পোয়্যাঁত কুর্ত ছবির চরিত্রগুলোর ব্যক্তিক বৈশিষ্টগুলোর দ্বন্দ্বেও এই ধারণা পাওয়া যায়, যা কিছু বস্তু যেমন - কাঠ ও স্টিলের মধ্য দিয়ে উপস্থাপন করা হয়। চরিত্রের বিমূর্ততার জন্য ভারদা দুজন পেশাদার অভিনয়শিল্পীকে ব্যবহার করেন। তারা হলেন সিলভিয়া মঁফো ও ফিলিপ নোয়ারে, যারা লা পোয়্যাঁত কুর্তের একটি বাড়িতে বসবাস করেন। বাস্তব উপাদানগুলো ফুটিয়ে তোলার মাধ্যমে ছবিটি নয়াবাস্তববাদ দ্বারা প্রভাবিত নান্দনিক প্রামাণ্যচিত্রে রূপ নেয়। ভারদা তার চলচ্চিত্রে এই ধরনের কল্পনা-আশ্রিত ও প্রামাণ্যচিত্রের উপাদানের সমন্বয় ব্যবহার করতে থাকেন।[১৩]
চলচ্চিত্রটি সম্পাদনা করেন ভারদার বন্ধু ও সমকালীন বামপন্থী চলচ্চিত্র নির্মাতা আল্যাঁ রেনে। রেনে এই চলচ্চিত্রে কাজ করতে অনিচ্ছুক ছিলেন কারণ তিনি নিজেও এরকম একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন এবং এর গঠন তার নিজের হিরোশিমা মোঁ আমুর (১৯৫৯) চলচ্চিত্রের কাছাকাছি। ভারদার অ্যাপার্টমেন্টে ছবিটির সম্পাদনা করার সময়ে রেনে ছবিটিকে লুচিনো ভিসকন্তি, মিকেলাঞ্জেলো আন্তোনিওনি ও অন্যান্যদের কাজের সাথে তুলনা করে তাকে বিরক্ত করতে থাকেন। ভারদা তাদের সম্পর্কে অবগত ছিলেন না এবং বিরক্ত হয়ে সিনেমাতিকে যান ও তিনি যা বলছিলেন তা খুঁজে বের করেন। রেনে ও ভারদা আজীবন বন্ধু ছিলেন, রেনে বলেন যে "বিড়াল ছাড়া" তাদের মধ্যে কোন কিছুর মিল ছিল না।[৬] মুক্তির পরপরই কাইয়ে দ্যু সিনেমা চলচ্চিত্রটির প্রশংসা করে, অঁদ্রে বাজ্যাঁ বলেন, "কৌশলের পূর্ণ স্বাধীনতা রয়েছে, যা এই ভাব তৈরি করতে পেরেছে, চলচ্চিত্রে এটি এতই বিরল যে আমরা এমন একটি কাজ দেখতে পেয়েছি যা কোন প্রকার বহিঃবাধা উপেক্ষা করে লেখকের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করেছে।"[১৪] ফ্রঁসোয়া ত্রুফো ছবিটিকে "নিরীক্ষাধর্মী, উচ্চাকাঙ্ক্ষী, সৎ ও বুদ্ধিদীপ্ত কাজ" বলে অভিহিত করেন।[১৫] যাই হোক, চলচ্চিত্রটি ব্যবসায়িক দিক থেকে ব্যর্থ হয় এবং ভারদা পরের সাত বছর শুধু স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রই নির্মাণ করেন।[৬]
ভারদাকে ফরাসি নবকল্লোলের মাতামহী ও জননী হিসেবে অভিহিত করা হয়। লা পোয়্যাঁত কুর্ত অনানুষ্ঠানিকভাবে কিন্তু সর্বোপরি এই আন্দোলনের প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচিত।[১৬] এটি তার নির্মিত অনেকগুলো চলচ্চিত্রের মধ্যে প্রথম চলচ্চিত্র যা সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা তুলে ধরেছে। জীবনের পরবর্তী সময়ে ভারদা বলেন যে তিনি মানুষের ক্ষমতার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন না; তার পরিবর্তে তিনি বিদ্রোহীদের ব্যাপারে অধিক আগ্রহী ছিলেন, যারা তাদের নিজের জীবনের জন্য সংগ্রাম করে থাকে।"[১৭]
ক্লেও দ্য স্যাঁক আ সেত (১৯৬১)
সম্পাদনালা পোয়্যাঁত কুর্ত নির্মাণের পর ভারদা কয়েকটি প্রামাণ্য স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, তন্মধ্যে দুটি ছবিকে অর্থায়ন করে ফরাসি পর্যটন দপ্তর। এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের মধ্যে একটি ছিল ভারদার নিজের প্রিয় কাজ - রু মুফতার বাজার নিয়ে নির্মিত লোপেরা-মুফ, যার জন্য ভারদা ১৯৫৮ সালে ব্রাসেলস নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পুরস্কার অর্জন করেন।[৬]
ক্লেও দ্য স্যাঁক আ সেত (ফরাসি: Cléo from 5 to 7) ছবিতে দুই ঘণ্টা ধরে ময়না তদন্তের জন্য অপেক্ষারত একজন পপ গায়িকা জীবন তুলে ধরা হয়েছে। এই ছবিতে একজন নারীকে তার মরনশীলতার দৃষ্টিকোণ থেকে ভাসাভাসাভাবে তুলে ধরা হয়েছে, তা ভারদার সাধারণ ওতোরবাদী বৈশিষ্ট।[১৮] গভীরভাবে ক্লেও দ্য স্যাঁক আ সেত ছবিটি ক্লেও চরিত্রটিকে তার দিব্যদৃষ্টি প্রদান করে প্রথাগতভাবে আপত্তিতে জর্জরিত নারীর মুখোমুখি করেছে। তিনি অন্যদের দৃষ্টিতে তাকে নির্ণয় করা যায় না, যা প্রায়ই প্রতিবিম্বিতকরণের বৈশিষ্টের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় এবং ক্লেওয়ের তার শরীরকে খোলে ফেলার সক্ষমতা অনেকে কাপড় বা পরচুলা খোলার মত ছিল। কৌশলগতভাবে, ক্লেও দ্য স্যাঁক আ সেত প্রামাণ্যচিত্র ও কল্পনার মিশ্রণ, যা লা পোয়্যাঁত কুর্ত ছবিতেও ছিল। যদিও অনেকে মনে করেন যে ৯০ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাস্তব সময়ে ঘটা একটি ঘটনার উপস্থাপন করছে, মূলত এতে আধা ঘণ্টার পার্থক্য ছিল।[১৩]
পরবর্তী কর্মজীবন
সম্পাদনা১৯৭৭ সালে ভারদা চিত্রধারণ ও সম্পাদনায় আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ লাভের জন্য তার নিজের প্রযোজনা কোম্পানি সিনে-তামারিস প্রতিষ্ঠা করেন।[১৯] ২০১৩ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি মিউজিয়াম অব আর্ট ক্যালিফোর্নিয়াল্যান্ডে আনিয়েস ভারদা শীর্ষক ভারদার প্রথম মার্কিন প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এই প্রদর্শনীতে ভাস্কর্য স্থাপন, কয়েকটি আলোকচিত্র, ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং ১৯৬০-এর দশকে লস অ্যাঞ্জেলেসে তার অতিবাহিত সময়ের অনুপ্রেরণার বর্ণনা প্রদর্শিত হয়।[২০]
সাঁ তোয়া নি লোয়া
সম্পাদনা১৯৮৫ সালে ভারদা সাঁ তোয়া নি লোয়া (ফরাসি: Sans toit ni loi) চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এটি মোনা নামক একজন ভবঘুরে তরুণীর মৃত্যু নিয়ে নির্মিত নাট্যধর্মী চলচ্চিত্র। মৃত্যু তদন্ত করেন একজন অদৃশ্য ও অশ্রুত তদন্তকারী, যিনি তাকে শেষবার দেখেছিল এমন ব্যক্তিদের উপর নজর দেন। এই চলচ্চিত্রটির গল্প অসরলরৈখিক কৌশলে বর্ণিত হয়েছে, যেখানে ছবিটি ৪৭টি পর্বে বিভক্ত করা হয়েছে এবং প্রতি পর্বে ভিন্ন ভিন্ন লোকের দৃষ্টিকোণ থেকে মোনাকে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। পুরুষের দৃষ্টিকোণ থেকে নারীর শরীরের অতিরিক্ত মনোযোগ তুলে ধরার কারণে সাঁ তোয়া নি লোয়া ছবিটিকে ভারদার অন্যতম সেরা নারীবাদী কর্ম হিসেবে গণ্য করা হয়।[২১]
জাক্যু দ্য নঁত
সম্পাদনা১৯৯১ সালে তার স্বামী জাক দ্যমির মৃত্যুর পর ভারদা দ্যমির জীবনী ও মৃত্যু নিয়ে জাক্যু দ্য নঁত (ফরাসি: Jacquot de Nantes) চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। চলচ্চিত্রটিতে প্রথমে দ্যমির প্রারম্ভিক জীবনের পুনঃসৃজন ও চলচ্চিত্র নির্মাণের বিভিন্ন কারুকার্য তথা অ্যানিমেশন ও সেট পরিকল্পনার প্রতি তার মোহের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। কিন্তু পরে ভারদা দ্যমির চলচ্চিত্রসমূহের অংশবিশেষ ও তার মৃত্যুর দিকে ধাবিত হওয়ার ফুটেজসহ প্রামাণ্যধর্মী উপাদান যোগ করেন। এই চলচ্চিত্রেও মৃত্যুকে গ্রহণ করা বিষয়ক ভারদার মূলভাব তুলে ধরা হয়েছে, কিন্তু মূলত এই ছবিটিকে তার প্রয়াত স্বামী ও তাদের কর্মের প্রতি ভারদার শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয়।[১৮]
লে গ্লানোর এ লা গ্লানোস
সম্পাদনালে গ্লানোর এ লা গ্লানোস (ফরাসি: Les Glaneurs et la Glaneuse) প্রামাণ্যচিত্র ফরাসি গ্রামে বসবাসরত কৃষকদের সাথে ভারদার আলাপচারিতা এবং বিভিন্ন বস্তু পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে শিল্পে রূপান্তর ও মনোবিশ্লেষক জঁ লাপ্লানশের সাথে সাক্ষাৎকার চিত্রিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটি এর খণ্ড খণ্ড ও স্বাধীন প্রকৃতি এবং প্রথমবারের মত ভারদার ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহারের জন্য উল্লেখযোগ্য। এই চলচ্চিত্র নির্মাণের ধরনকে প্রায়ই ব্যাখ্যা করা হয় যে অব্যবহার্য বস্তু থেকেও শিল্পের মত মহৎ বস্তু তৈরি করা যায়, যদিও আধুনিক অর্থনীতিতে শুধু সেরা পণ্য ব্যবহারের জন্য অনুপ্রাণিত করা হয়।[২২]
ভিসাজ ভিলাজ
সম্পাদনা২০১৭ সালে ভারদা ও চিত্রশিল্পী জেআর যৌথভাবে ভিসাজ ভিলাজ (ফরাসি: Visages Villages) প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেন। এতে ভারদা ও জেআরকে ফ্রান্সের গ্রামে ভ্রমণ করতে এবং তাদের সাথে সাক্ষাৎ হওয়া লোকজনের পোট্রেট তৈরি করতে দেখা যায়। ছবিটি ২০১৭ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিযোগিতার বাইরে প্রদর্শিত হয়,[২৩][২৪] এবং লেইল দর পুরস্কার অর্জন করে।[২৫] ভারদা এই ছবিটির জন্য শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন, ফলে তিনি প্রতিযোগিতামূলক অস্কারের মনোনীত বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি হয়ে ওঠেন।[২৬] যদিও এটি তার প্রথম অস্কারের মনোনয়ন, ভারদা এটিকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে করেননি, এবং বলেন, "এতে গর্বিত হওয়ার কিছু নেই, কিন্তু খুশি হয়েছি। খুশি হয়েছি কারণ আমরা চলচ্চিত্র নির্মাণ করি ভালোবাসা পেতে। আমরা চলচ্চিত্র নির্মাণ করি যাতে আপনারা চলচ্চিত্রটি ভালোবাসেন।"[২৭][২৮]
পদ্ধতি ও প্রভাব
সম্পাদনাভারদার অনেক চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্র হল সমাজের নিম্নবিত্ত বা সমাজচ্যুত ব্যক্তি এবং প্রামাণ্যচিত্রগুলো প্রকৃতি সম্পর্কিত। তিনি ব্ল্যাক প্যান্থার পার্টির নেতা হুই নিউটন একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করার কারণে গ্রেফতার হওয়ার পর এই দলটিকে নিয়ে দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, সেগুলো হল হুই ও ব্ল্যাক প্যান্থারস। চলচ্চিত্র দুটিতে নিউটনের সমর্থনে জনগণের মিছিল এবং "ফ্রি হুই" ক্যাম্পেইনকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।[২৯]
অন্যান্য ফরাসি নবকল্লোলের পরিচালকদের মত ভারদাও ওতোর তত্ত্বে প্রভাবিত ছিলেন এবং ক্যামেরাকে "কলমের মত" ব্যবহার করে নিজস্ব কৌশল সৃষ্টি করেন। ভারদা তার চলচ্চিত্র নির্মাণের পদ্ধতিকে "সিনেক্রিতুর" (চলচ্চিত্রে লেখনী) বলে অভিহিত করেন।[৩০] একটি চলচ্চিত্রে ব্যবহৃত মৌলিক ভূমিকাগুলো, তথা চিত্রগ্রহণ, চিত্রনাট্য, পরিচালনাকে আলাদা না করে তিনি বিশ্বাস করতেন সকল ভূমিকাগুলোকে একই সাথে কাজের মাধ্যমে আরও সংযোজক চলচ্চিত্র নির্মাণ করা যায় এবং চলচ্চিত্রের সকল উপাদান এর বার্তার সাথে সংগতিপূর্ণ হবে। তিনি দাবী করেন তিনি তার বেশিরভাগ আবিষ্কার সম্পাদনার সময় করে থাকেন এবং মূলভাব তৈরিতে চিত্র ও সংলাপে বিভিন্ন সুযোগ খুঁজে থাকেন।[৩১]
আলোকচিত্র ধারণের পূর্ব অভিজ্ঞতার কারণে তার চলচ্চিত্রে স্থির চিত্র প্রায়ই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। স্থির চিত্র প্রতীকী বা বর্ণনামূলক বিষয় ফুটিয়ে তুলতে পারে এবং এর সকল উপাদানই গুরুত্বপূর্ণ। তার চলচ্চিত্রে মাঝে মাঝে স্থির ও চলমান চিত্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব লক্ষণীয়, এবং তিনি প্রায়ই চলমান চিত্রের সাথে স্থির চিত্রের (স্ন্যাপশট) মিশ্রণ ঘটাতেন। ভারদা বর্ণনায় খুব বেশি মনোযোগ দেন এবং তার চলচ্চিত্রায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল কাজের ব্যাপারে অতি সতর্ক ছিলেন। তার চলচ্চিত্রের উপাদানগুলো খুব কমই কেবল প্রায়োগিক ছিল, সকল উপাদানগুলোর নিজস্ব সংশ্লিষ্টতা, তথা এর নিজস্ব এবং সামগ্রিক চলচ্চিত্রের বার্তার সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল।[৩২]
তার বেশিরভাগ প্রভা ছিল শৈল্পিক বা সাহিত্যিক, তন্মধ্যে রয়েছে পরাবাস্তববাদ, উইলিয়াম ফকনার, ফ্রান্ৎস কাফকা, ও নাথালি সারাউট।[৩৩]
ফরাসি নবকল্লোলের সাথে সংশ্লিষ্টতা
সম্পাদনাসাহিত্যিক প্রভাবের কারণে এবং ফরাসি নবকল্লোলের পূর্ববর্তী সময়ের তার কাজের কারণে ভারদার চলচ্চিত্রগুলো ক্রিস মার্কার, আল্যাঁ রেনে, মার্গেরিত দ্যুরা, আল্যাঁ রব-গ্রিলে, জঁ কেরল, ও অঁরি কল্পির চলচ্চিত্রগুলোর মত বামপন্থী (রিভ গোচ) চলচ্চিত্র আন্দোলনের সাথে জড়িত। নবকল্লোল আন্দোলনের বামপন্থী অংশ কাইয়ে দ্যু সিনেমা দলের থেকে আরও বেশি নিরীক্ষাধর্মী পদ্ধতি অনুসরণ করে। যাই হোক, প্রথাগত পদ্ধতি ও বিষয়ের উপর জোড় দিতে গেলে নবকল্লোল নিজেই নিরীক্ষাধর্মী এই বিবেচনায় বামপন্থী ও কাইয়ে দ্যু সিনেমার এই স্বাতন্ত্র্য শ্লেষাত্মক বলে গণ্য করা হয়।[৩৪]
বামপন্থী চলচ্চিত্র সাহিত্যের নব্য রোমান আন্দোলনের সাথে গভীরভাবে জড়িত। এই দলের সদস্যদের প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের একই রকম অভিজ্ঞতা ছিল, তা হল বামপন্থী রাজনৈতিক পরিচিতি এবং নিরীক্ষা এবং চলচ্চিত্রকে শিল্প রূপে দেখার প্রতি প্রবল আগ্রহ। ভারদা ও অন্যান্য বামপন্থী চলচ্চিত্র নির্মাতাগণ এক ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণশৈলী তৈরি করেন যা চলচ্চিত্র নির্মাণের সবচেয়ে আনুষ্ঠানিক নিরীক্ষাধর্মী কৌশন আভান্ত-গার্দ-এর সাথে চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সামাজিকভাবে প্রেরণাদানকারী কৌশল তথা প্রামাণ্যচিত্রের সাথে মিশে যায়। বামপন্থী চলচ্চিত্রের সদস্যরা প্রায়ই একে অপরের সাথে মিলে কাজ করতেন। পণ্ডিত দেলফিন বেনেজে'র মতে ভারদা প্রদর্শনের প্রথা ও নির্মাণের একনায়কতন্ত্রের লোভ সংবরণ করেছিলেন।[৩৫]:৬
নারীবাদী চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে
সম্পাদনানারী মুখ্য চরিত্রের ব্যবহার ও চলচ্চিত্রের নারীবাদী কণ্ঠের জন্য ভারদার কাজগুলোকে প্রায়ই নারীবাদী বলে গণ্য করা হয়।[১৯] ভারদা বলেন, "আমি নারীবাদের কোন তাত্ত্বিক নই, আমি আমার আলোকচিত্র, আমার চলচ্চিত্র, আমার কারুকাজ, আমার জীবন - আমার দৃষ্টিকোণ থেকে, আমার নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে করে থাকি, এবং কোন পুরুষের মত করি না।"[৩৬] যদিও তিনি নারীবাদী আন্দোলনের কোন নির্দিষ্ট কর্মসূচির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন না, ভারদা প্রায়ই নারীর প্রসঙ্গের দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন এবং কখনো তার কারুকাজকে অধিকতর প্রথাগত বা পুরুষপ্রধান হিসেবে পরিবর্তন করার চেষ্টা করেননি।[৩৭][৩৮]
ঐতিহাসিকভাবে, ভারদাকে নবকল্লোলের জননী হিসেবে দেখা হয়। চলচ্চিত্র সমালোচক দেলফিন বেনেজে একক নারী ও চলচ্চিত্রের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা "একক নারীসুলভ" (au feminin singulier) কাজের জন্য ভারদার গুরুত্ব সম্পর্কিত যুক্তি প্রদর্শন করেন। ভারদা ভিন্ন ধরনের সাহসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তার নারীবাদী সত্তাকে গ্রহণ করেছিলেন।[৩৫]
ব্যক্তিগত জীবন ও মৃত্যু
সম্পাদনা১৯৫৮ সালে ভারদা প্যারিসে তার হবু স্বামী জাক দ্যমির সাথে পরিচিত হন। দ্যমিও একজন ফরাসি চলচ্চিত্র পরিচালক। তারা ১৯৫৯ সালে একত্রে বসবাস শুরু করেন। ১৯৬২ সালে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন, যা ১৯৯০ সালে দ্যমির মৃত্যু পর্যন্ত টিকেছিল। ভারদার দুই সন্তান রয়েছে। কন্যা রোজালি ভারদার (জ. ১৯৫৮) জন্ম হয় অভিনেতা অঁতোয়ান বুর্সেইলের সাথে তার সম্পর্কে ফলে, বুর্সেইলে তার পরিচালিত ক্লেও দ্য স্যাঁক অ সেত ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তার পুত্র মাতিও দ্যমি (জ. ১৯৭২) দ্যমির সাথে তার বিবাহের পর জন্মগ্রহণ করে।[১৯] দ্যমি আইনসিদ্ধভাবে রোজালি ভারদাকে দত্তক নেন।[১৮] ভারদা তার কন্যাকে নিয়ে অস্কার মনোনীত ভিসাজ ভিলাজ প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করেন।[২৭]
১৯৭১ সালে ভারদা গর্ভপাত করেছেন একন ৩৪৩ নারীর একজন হিসেবে এক লিখিত ঘোষণায় স্বাক্ষর করেন, যদিও ফ্রান্সে সেসময় গর্ভপাত আইনবিরোধী ছিল, এবং তারা গর্ভপাতকে আইনসিদ্ধ করার দাবী জানান।
আনিয়েস ভারদা চিত্রশিল্পী জঁ ভারদার চাচাতো বোন। ১৯৬৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায় তাদের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। জঁ ভারদা তার স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র আঙ্কল ইয়াঙ্কো'র প্রধান বিষয়বস্তু। জঁ ভারদা নিজেকে ইয়াঙ্কো নামে পরিচিত করিয়ে দিতেন এবং আনিয়েস তাদের বয়সের ব্যবধানের জন্য তাকে "আঙ্কল" বলে ডাকত।[৩৯]
ভারদা ২০১৯ সালের ২৯শে মার্চ ৯০ বছর বয়সে প্যারিসে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।[৪০][৪১] তাকে ২রা এপ্রিল মন্তপার্নাস সমাধিতে সমাহিত করা হয়।[৪২] তার শেষকৃত্যে অংশগ্রহণ করেছিলেন কাত্রিন দ্যনোভ, জুলি গায়ে, সঁদ্রিন কিবেরল্যাঁ, জাক তুবোঁ, ও মাশা মেরিল।[৪৩]
পুরস্কার ও সম্মাননা
সম্পাদনাভারদা ২০০৫ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবের এবং ১৯৮৩ সালে ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের জুরি সদস্য ছিলেন।[৪৪][৪৫] ২০০২ সালে তিনি ফরাসি আকাদেমি পুরস্কার র্যনে ক্লেয়ার পুরস্কার লাভ করেন।[৪৬] ২০০৭ সালের ৪ঠা মার্চ তিনি ফ্রান্সের জাতীয় মর্যাদাপূর্ণ গ্র্যান্ড অফিসার খেতাব লাভ করেন।[৪৭] ২০০৯ সালের ১২ই এপ্রিল তিনি লেজিওঁ দনরের কমান্ডার উপাধিতে ভূষিত হন।[৪৮] ২০১০ সালে মে মাসে তিনি কান চলচ্চিত্র উৎসবের আজীবন সম্মাননা হিসেবে ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটের ৮ম কারোস দর পুরস্কার লাভ করেন।[৪৯] ২০১০ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর ভারদা বেলজিয়ামের লিয়েগ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি অর্জন করেন।[৫০] ২০১৩ সালের ১৪ই মে ভারদা ফ্রান্সের জাতীয় মর্যাদাপূর্ণ গ্র্যান্ড ক্রস খেতাব লাভ করেন।[৪৭] ২০১৩ সালের ২২শে মে ভারদা চলচ্চিত্র সংরক্ষণ ও নতুনভাবে গুদামজাতকরণের ক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য এফআইএএফ পুরস্কার লাভ করেন।[৫১] ২০১৪ সালের ১০ই আগস্ট তিনি ৬৭তম লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসব থেকে লেওপার্ড অব অনার পুরস্কার লাভ করেন।[৫২] তিনি কিরা মুরাতভার পর দ্বিতীয় নারী হিসেবে এই পুরস্কার লাভ করেন।[৫৩] ২০১৪ সালের ১০ই আগস্ট ইউরোপিয়ান ফিল্ম একাডেমি থেকে প্রদত্ত সম্মানসূচক আজীবন সম্মাননা অর্জন করেন।[৫৪] ২০১৫ সালের ২৪শে মে তিনি সম্মানসূচক পাল্ম দর লাভ করেন। তিনি প্রথম নারী হিসেবে সম্মানসূচক পাল্ম দর লাভ করেন।[৫৫] ২০১৭ সালের ১৬ই এপ্রিল ভারদা লেজিওঁ দনরের গ্র্যান্ড অফিসার উপাধিতে ভূষিত হন।[৫৬] ২০১৭ সালে সিনেমা আই-এর "বিস্মরণীয়" তালিকায় ভারদার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৫৭]
১৯৮৫ সালে তার প্রামাণ্যচিত্র ধারার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সঁ তোয়া নি লোয়া-এর জন্য তিনি ৪২তম ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব থেকে গোল্ডেন লায়ন অর্জন করেন।[৫৮] ২০০৯ সালে লে প্লাগে দানিয়েস ৩৪তম সেজার পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার অর্জন করে।[৫৯]
২০১৭ সালের ১১ই নভেম্বর ভারদা চলচ্চিত্রে তার সামগ্রিক অবদানের জন্য সম্মানসূচক একাডেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তিনিই প্রথম নারী পরিচালক হিসেবে এই পুরস্কার অর্জন করেন।[৬০][৬১][৬২] ৯ম বার্ষিক গভর্নর পুরস্কার আয়োজনে এই পুরস্কারটি প্রদান করা হয়।[৬৩] দুই মাস পর তিনি তার ভিসাজ ভিলাজ প্রামাণ্যচিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন, ফলে তিনি বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে কোন প্রতিযোগিতামূলক অস্কারের জন্য মনোনীত হন, তিনি সে সময় পূর্বের বয়োজ্যেষ্ঠ মনোনয়ন গ্রহীতা জেমস আইভরির থেকে আট দিনের বড় ছিলেন।[৬৪]
চলচ্চিত্রের তালিকা
সম্পাদনাপূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
সম্পাদনাবছর | চলচ্চিত্রের শিরোনাম | মূল শিরোনাম[৬৫] | ভূমিকা |
---|---|---|---|
১৯৫৫ | লা পোয়্যাঁত কুর্ত | La Pointe Courte | পরিচালক, লেখক |
১৯৬২ | ক্লেও দ্য স্যাঁক আ সেত | Cléo de 5 à 7 | পরিচালক, লেখক |
১৯৬৫ | ল্য বনয়ো | Le Bonheur | পরিচালক, লেখক |
১৯৬৬ | লে ক্রেয়াতুর | Les Créatures | পরিচালক, লেখক |
১৯৬৭ | লোয়াঁ দ্যু ভিয়েতনাম | Loin du Vietnam | সহ-পরিচালক |
১৯৬৯ | লায়ন্স লাভ | Lions Love | পরিচালক, লেখক, প্রযোজক |
১৯৭৫ | দাগেরেওতিপ | Daguerréotypes | পরিচালক, লেখক |
১৯৭৭ | লুনে শান্ত, লোত্র পা | L'Une chante, l'autre pas | পরিচালক, লেখক |
১৯৮১ | ম্যুর ম্যুর | Mur Murs | পরিচালক, লেখক |
১৯৮১ | দক্যুমেনতোর | Documenteur | পরিচালক, লেখক |
১৯৮৫ | সাঁ তোয়া নি লোয়া | Sans toit ni loi | পরিচালক, লেখক, সম্পাদক |
১৯৮৮ | জান বি. পার আনিয়েস ভি | Jane B. par Agnes V | পরিচালক, লেখক, সম্পাদক |
১৯৮৭ | ল্য পেতি আমুর | Le petit amour | পরিচালক, লেখক |
১৯৯১ | জাক্যু দ্য নঁতে | Jacquot de Nantes | পরিচালক, লেখক |
১৯৯৩ | লে দেমোয়াজেলে অঁ ও ২৫ অঁ | Les demoiselles ont eu 25 ans | পরিচালক, লেখক |
১৯৯৪ | লে সঁ এ উন নুইত দ্য সিমোঁ সিনেমা | Les Cent et une nuits de Simon Cinéma | পরিচালক, লেখক |
১৯৯৫ | ল্যুনিভার দ্য জাক দ্যমি | L'univers de Jacques Demy | পরিচালক, লেখক |
২০০০ | লে গ্লানোর এ লা গ্লানোস | Les Glaneurs et la glaneuse | পরিচালক, লেখক, প্রযোজক, সম্পাদক |
২০০২ | লে গ্লানোর এ লা গ্লানোস... দো অঁ আপ্রে | Les Glaneurs et la glaneuse... deux ans après | পরিচালক, লেখক |
২০০৪ | সিনেভারদাফোটো | Cinévardaphoto | পরিচালক, লেখক |
২০০৬ | কেলকে ভোভে দ্য নোয়ারমোতিয়ে | Quelques veuves de Noirmoutier | পরিচালক, লেখক |
২০০৮ | লে প্লাগ দানিয়েস | Les plages d'Agnès | পরিচালক, লেখক, প্রযোজক |
২০১৭ | ভিসাজ ভিলাজ | Visages Villages | পরিচালক |
২০১৯ | ভারদা পার আনিয়েস | Varda par Agnès | পরিচালক |
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
সম্পাদনাবছর | চলচ্চিত্রের শিরোনাম | মূল শিরোনাম[৬৫] | ভূমিকা |
---|---|---|---|
১৯৫৮ | লোপেরা-মুফ | L'opéra-mouffe | পরিচালক, লেখক |
১৯৫৮ | লা ককত দাজ্যুর | La cocotte d'azur | পরিচালক, লেখক |
১৯৫৮ | দ্যু কোতে দ্য লা কোত | Du côté de la côte | পরিচালক, লেখক |
১৯৫৮ | ও সায়াসোঁ, ও শাতোয়া | Ô saisons, ô châteaux | পরিচালক, লেখক |
১৯৬১ | লে ফিয়ান্সে দ্যু পঁ ম্যাকডোনাল্ড উ | Les fiancés du pont MacDonald ou | পরিচালক, লেখক |
১৯৬৩ | সাল্যু লে শুব্যাঁ | Salut les cubains | পরিচালক, অভিনয়শিল্পী |
১৯৬৫ | এলসা লা রোজ | Elsa la rose | পরিচালক, লেখক |
১৯৬৭ | অঁকল ইয়াঙ্কো | Oncle Yanco | পরিচালক, লেখক, অভিনয়শিল্পী |
১৯৬৮ | ব্ল্যাক প্যান্থারস | Black Panthers | পরিচালক |
১৯৬৮ | হুয়ি | Huey | পরিচালক |
১৯৭৫ | রেপঁস দ্য ফেম: নত্র কর্প, নত্র সেক্স | Réponse de femmes: Notre corps, notre sexe | পরিচালক, লেখক, অভিনয়শিল্পী |
১৯৭৬ | প্লায়াসির দামুর অঁ ইরান | Plaisir d'amour en Iran | পরিচালক, লেখক |
১৯৮৪ | লে দিত শারিয়াতিদে | Les dites cariatides | পরিচালক, লেখক, অভিনয়শিল্পী |
১৯৮৪ | সেত পি. ক্যুই. এস. দ্য বি., ... আ সায়াসি | 7p. cuis., s. de b., ... à saisir | পরিচালক, লেখক |
১৯৮৬ | তা দ্য বোয়া এস্কালিয়ের, ত্যু সায়া | T'as de beaux escaliers, tu sais | পরিচালক, লেখক |
১৯৮২ | ইউলিস | Ulysse | পরিচালক, লেখক, অভিনয়শিল্পী |
২০০৩ | ল্য লিওঁ ভোলাতিল | Le lion volatil | পরিচালক, লেখক |
২০০৪ | ইদেসা, লে উর এ এটসেট্রা | Ydessa, les ours et etc. | পরিচালক, লেখক |
২০০৪ | দের ভিয়েনাল '০৪ ট্রেইলার | Der Viennale '04-Trailer | পরিচালক, লেখক, অভিনয়শিল্পী |
২০০৫ | লে দিত কারিয়াতিদ বি | Les dites cariatides bis | পরিচালক, লেখক |
২০০৫ | ক্লেও দ্য স্যাঁক আ সেট: সুভেনির এ আনেকদোত | Cléo de 5 à 7: souvenirs et anecdotes | পরিচালক |
২০১৫ | লে থুয়া বুতোঁ | Les 3 Boutons | পরিচালক, লেখক |
টেলিভিশন কর্ম
সম্পাদনাবছর | টিভি শিরোনাম | মূল শিরোনাম[৬৫] | ভূমিকা | টীকা |
---|---|---|---|---|
১৯৭০ | নোসিকা | Nausicaa | লেখক, পরিচালক | টিভি চলচ্চিত্র |
১৯৮৩ | উন মিনিত পুর উন ইমেজ | Une minute pour une image | পরিচালক | টিভি প্রামাণ্যচিত্র |
২০১০ | পি.ও.ভি. | P.O.V. | পরিচালক, লেখক, প্রযোজক, চিত্রগ্রাহক | পর্ব ৩, মৌসুম ২৩, দ্য বিচেস অব আনিয়েস |
২০১১ | আনিয়েস দ্য সি দ্য লা ভারদা | Agnès de ci de là Varda | পরিচালক, লেখক, অভিনয়শিল্পী | ৫ পর্ব (টিভি প্রামাণ্যচিত্র) |
প্রকাশনা
সম্পাদনা(সবকয়টি ফরাসি ভাষায়।)
- লে প্লাজ দানিয়েস: তেক্সৎ ইলুস্ত্রে দ্যু ফিল্ম দানিয়েস ভারদা (Les Plages d'Agnès: texte illustré du film d'Agnès Varda),মেমোয়ার দ্য সেজার সংকলন, লোআই সংস্করণ পৃষ্ঠা ১০৮ (২০১০) ওসিএলসি 642213101 আইএসবিএন ২৩৫১৩৭০৮৭২
- লিল এ এল: আনিয়েস ভারদা (L'île et elle: Agnès Varda), আক্ত স্যুদ, পৃষ্ঠা ৮৮ (২০০৬) ওসিএলসি 2742762086 আইএসবিএন ৯৭৮২৭৪২৭৬২০৮৮
- সাঁ তোয়া নি লোয়া: উন ফিল্ম দানিয়েস ভারদা (Sans toit ni loi: un film d'Agnès Varda), লাভান-সিন সিনেমা, পৃষ্ঠা ৯২ (২০০৩) ওসিএলসি 2847250220[৬৬]
- ভারদা পার আনিয়েস (Varda par Agnès), লে কাইয়ে দ্যু সিনেমা (১৯৯৪, পুনর্মুদ্রণ ২০০৫) ওসিএলসি 2866421450 আইএসবিএন ৯৭৮২৮৬৬৪২১৪৫৮
- লা কোত দাজুর, দাজুর, দাজুর, দাজুর (La Côte d'Azur, d'azur, d'azur, d'azur), লিও-দি, লে এদিশন দ্যু তেম্প সংকলন (১৯৬১) ওসিএলসি 9817787[৬৭]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Agnes Varda | Biography, Movies, & Facts"। এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ভিনসেন্দো, জিনেত (২৮ জানুয়ারি ২০০৮)। "La Pointe Courte: How Agnès Varda "Invented" the New Wave"। দ্য ক্রাইটেরিয়ন কালেকশন। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৯।
- ↑ চু, হেনরি (২৯ মার্চ ২০১৯)। "Agnes Varda, Leading Light of French New Wave, Dies at 90"। ভ্যারাইটি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Agnes Varda Biography (1928-)" (ইংরেজি ভাষায়)। ফিল্ম রেফারেন্স। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ক খ গ "Agnes Varda facts, information, pictures"। এনসাইক্লোপিডিয়া.কম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ ওয়েকম্যান, জন (১৯৮৭)। 1945 - 1985 (ইংরেজি ভাষায়)। এইচডব্লিউ উইলসন কোম্পানি। পৃষ্ঠা ১২০৫। আইএসবিএন 9780824207632। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ডার্ক, ক্রিস. "Agnes Varda." Sight & Sound, vol. 25, no. 4, April 2015, pp. 46–50. Film & Television Literature Index with Full Text, EBSCOhost.
- ↑ দ্যরুট, রেবেকা (২০১৮)। Agnes Varda between Film, Photography, and Art। ওকল্যান্ড: ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা ৪৩–৪৫, ৮৮, ১০৮–১১০। আইএসবিএন 9780520279407।
- ↑ Point de Vue, 16 June 2016, « Agnès Varda, la joconde de la rue Daguerre »
- ↑ স্মিথ ১৯৯৮, পৃ. ৩।
- ↑ হ্যাটি, শেইলা। "Agnès Varda [FILMMAKER]"। বিলিভার (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৯।
- ↑ নোপার্ট, রিচার্ড (২০০৭)। A History of the French New Wave Cinema (ইংরেজি ভাষায়)। উইসকনসিন বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা ৫৭।
- ↑ ক খ ফিটারম্যান, লুইস (১৯৯৬)। To Desire Differently (ইংরেজি ভাষায়)। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা ২১৫–২৪৫।
- ↑ "LA POINTE COURTE - Agnes Varda"। নিউ ওয়েব ফিল্ম (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "French Filmmaker Agnès Varda to Receive WGAW's 2019 Jean Renoir Award for International Screenwriting Achievement"। ডব্লিউজিএডব্লিউ (ইংরেজি ভাষায়)। রাইটার্স গিল্ড অব আমেরিকা ওয়েস্ট। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Agnès Varda"। দ্য ক্রাইটেরিয়ন কালেকশন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ রিজ্জো, কারিতা (১০ নভেম্বর ২০১৭)। "Agnès Varda on Radical Filmmaking: 'I Never Thought I Didn't Have the Right'"। ভ্যারাইটি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ গ এমা, উইলসন (১৯৯৯)। "3. Mourning Films I.". French Cinema since 1950: Personal Histories (ইংরেজি ভাষায়)। ল্যানহাম: রোম্যান অ্যান্ড লিটলফিল্ড। পৃষ্ঠা ৪২–৪৬। আইএসবিএন 0715628496।
- ↑ ক খ গ কার্টার, হেলেন। "Varda, Agnès"। সেন্স অব সিনেমা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Agnès Varda in Californialand"। এলএসিএমএ। লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি মিউজিয়াম অব আর্ট। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ হেওয়ার্ড, সুজান; ভিনসেন্দো, জিনেত (২০০০)। Beyond the Gaze and Into Femme-Filmécriture." French Film: Texts and Contexts। লন্ডন: রটলেজ। পৃষ্ঠা ২৬৯–২৮০।
- ↑ ক্রুইকশ্র্যাঙ্ক, রুথ (২০০৭)। "The Work of Art in the Age of Global Consumption: Varda's Les Glaneurs et la glaneuse"। লেসপ্রিত ক্রেয়াতোর। ৪৭: ১১৯–১৩২।
- ↑ "The 2017 Official Selection"। কান (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ এপ্রিল ২০১৭। ১৪ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "2017 Cannes Film Festival Announces Lineup: Todd Haynes, Sofia Coppola, 'Twin Peaks' and More"। ইন্ডিওয়্যার (ইংরেজি ভাষায়)। ১৩ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Cannes: Agnes Varda's 'Faces Places' Takes Golden Eye Documentary Prize"। দ্য হলিউড রিপোর্টার (ইংরেজি ভাষায়)। Prometheus Global Media, LLC। ২৭ মে ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Rachel Withers। "The 2018 Oscar nominees include these historic firsts" (ইংরেজি ভাষায়)। স্লেট। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ রাইফ, ক্যাটি। "Agnès Varda says her Oscar nomination is nice, but "nothing to be proud of""। দি এ.ভি. ক্লাব (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ কোহেন, স্যান্ডি (৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "Agnes Varda is happy, but not proud, of her Oscar nomination" (ইংরেজি ভাষায়)। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ লেতোর, দেলফিন (১৫ ডিসেম্বর ২০১৪)। "Agnès Varda: filming the Black Panthers's Struggle"। লোর্দিনায়ার দে আমেরিকে (ইংরেজি ভাষায়) (২১৭)। আইএসএসএন 0997-0584। ডিওআই:10.4000/orda.1646।
- ↑ স্মিথ ১৯৯৮, পৃ. ১২।
- ↑ গর্বম্যান, ক্লাউদিয়া। "Places and Play in Agnès Varda's Cinécriture"। পিবিএস (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ স্মিথ ১৯৯৮, পৃ. ১৫।
- ↑ স্মিথ ১৯৯৮, পৃ. ৬, ১২, ১০৬।
- ↑ ডার্ক, ক্রিস (এপ্রিল ২০১৫)। "Agnes Varda"। সাইট অ্যান্ড সাউন্ড। ২৫ (৪): ৪৬–৫০ – EBSCO-এর মাধ্যমে।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ বেনেজে, দেলফিন (২০ মে ২০১৪)। The Cinema of Agnès Varda: Resistance and Eclecticism (ইংরেজি ভাষায়)। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। আইএসবিএন 9780231850612।
- ↑ ওয়েকম্যান ১৯৮৭, পৃ. 1142–1148।
- ↑ কাৎজ, রুবি। "Female Inhibition and Empowerment in 1960s Paris"। ফেসেট (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ হোসেন, রুবাইয়াত। "Female Directors, Female Gaze: The Search for Female Subjectivity in Film"। ফোরাম (ইংরেজি ভাষায়)। ৮ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Uncle Yanco"। ক্রাইটেরিয়ন (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ চু, অঁরি; কেসলাসি, এলসা (২৯ মার্চ ২০১৯)। "Agnès Varda, Leading Light of French New Wave, Dies at 90"। ভ্যারাইটি (ইংরেজি ভাষায়)। পেন্স্ক বিজনেস মিডিয়া। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Agnes Varda: Tributes to 'irreplaceable' film director"। বিবিসি নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। বিবিসি। ২৯ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Les obsèques d'Agnès Varda auront lieu mardi à Paris"। ল্য মঁদ (ফরাসি ভাষায়)। ৩০ মার্চ ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Agnes Varda funeral in Paris photo preview 55099058" (ইংরেজি ভাষায়)। ইউরোপিয়ান প্রেসফটো এজেন্সি। ২ এপ্রিল ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Juries 2005 : All the Juries"। কান চলচ্চিত্র উৎসব। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Giurie anni '80"। ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব। ৩০ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ নাস, কঁদে (২৯ মার্চ ২০১৯)। "Agnès Varda, Acclaimed French Filmmaker and "Grandmother of the New Wave," Is Dead at Age 90"। ভোগ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ "Elévation d'Agnès Varda à la dignité de Grand officier dans l'ordre national du mérite" [Elevation of Agnès Varda to the honor of Grand Officer of the National Order of Merit] (ফরাসি ভাষায়)। সংস্কৃতি মন্ত্রণালন (ফ্রান্স)। ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "Légion d'honneur : Vincent Bolloré et Max Gallo promus" [Legion of Honor: Vincent Bolloré and Max Gallo promoted] (ফরাসি ভাষায়)। ল্য মঁদ। ১২ এপ্রিল ২০০৯।
- ↑ মিন্টজার, জর্ডান; কেসলাসি, এলসা (৭ এপ্রিল ২০১০)। "Spotlight on sidebars"। ভ্যারাইটি। ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Rentrée académique à l'Université de Liège"। লিয়েগ বিশ্ববিদ্যালয় (ফরাসি ভাষায়)। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১০। ১৭ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "2013 FIAF Award presented to French Filmaker Agnès Varda during the International Cannes Film Festival"। ফিয়াফ.নেট। ২৭ মে ২০১৩। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯ – Wayback machine-এর মাধ্যমে।
- ↑ Llanos Martinez, Hector। "Agnès Varda • Director"। সিনে ইউরোপা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ডেল ডন, জর্জিয়া। "The Leopard of Honour at the Locarno Film Festival will this year celebrate the great Agnès Varda"। সিনে ইউরোপা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "EFA honours Agnès Varda"। সিনে ইউরোপা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "A Palme d'honneur to Agnès Varda"। কান চলচ্চিত্র উৎসব। ১৮ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Légion d'honneur: François Pinault, Laurent Fabius et Agnès Varda distingués" [Legion of Honor: François Pinault, Laurent Fabius and Agnès Varda honored] (french ভাষায়)। এজেন্সি ফ্রান্স-প্রেস। ১৭ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা – La Dépêche du Midi-এর মাধ্যমে।
- ↑ আলচিনি, ড্যানিয়েল (১৯ অক্টোবর ২০১৭)। "CIFF '17: Cinema Eye unveils "Unforgettables""। রিয়েল স্ক্রিন। ২৯ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "History of the Venice Film Festival"। La Biennale di Venezia (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "Accueil - Académie des Arts et Techniques du Cinéma"। Lescesarducinema.com। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Agnès Varda, the first female director to receive a Governors Award in Hollywood - uniFrance Films"। ইউনিফ্রান্স। ১৪ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Academy Honorary Award 2017: Le Bonheur is tainted by hypocrisy"। ভারসিটি। ২৪ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ জেআর (৪ এপ্রিল ২০১৯)। "'She Was Always in the Present.' Artist JR on the Films and Friendship of Agnès Varda"। টাইম। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "THE ACADEMY TO HONOR CHARLES BURNETT, OWEN ROIZMAN, DONALD SUTHERLAND AND AGNÈS VARDA WITH OSCARS AT 2017 GOVERNORS AWARDS | Oscars.org | Academy of Motion Picture Arts and Sciences"। অস্কার। ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "French director Agnès Varda, 89, becomes oldest ever Oscar nominee"। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ। সংগ্রহের তারিখ ২৩ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ ক খ গ "Agnès Varda: Filmographie"। আলোসিনে। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Notice bibliographique"। Bibliothèque nationale de France। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "Agnès Varda, Professor of Film at The European Graduate School / EGS"। European Graduate School। ৩০ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০১৯।
গ্রন্থপঞ্জি
সম্পাদনা- স্মিথ, অ্যালিসন (১৯৯৮)। Agnes Varda (ইংরেজি ভাষায়)। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস। পৃষ্ঠা ২১৩। আইএসবিএন 9780719050619। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০১৯।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে আনিয়েস ভারদা (ইংরেজি)