আনন্দ বিহার টার্মিনাল রেলওয়ে স্টেশন
আনন্দ বিহার টার্মিনাল (স্টেশন কোড: এএনভিটি) ভারতের দিল্লি শহরের আনন্দ বিহার এলাকার একটি রেল স্টেশন। এটি ভারতীয় রেলের উত্তর রেল অঞ্চলের দিল্লি রেলওয়ে বিভাগের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন।
আঞ্চলিক রেল, যাত্রী রেল ও আন্তঃনগর রেল স্টেশন | |||||
অবস্থান | পূর্ব দিল্লি, দিল্লি ভারত | ||||
স্থানাঙ্ক | ২৮°৩৯′২.৭৯″ উত্তর ৭৭°১৮′৫৪.৮৬″ পূর্ব / ২৮.৬৫০৭৭৫০° উত্তর ৭৭.৩১৫২৩৮৯° পূর্ব | ||||
উচ্চতা | ২০৭.১৪০ মিটার (৬৭৯.৫৯ ফু) | ||||
প্ল্যাটফর্ম | ৭ | ||||
সংযোগসমূহ | বিবেকানন্দ বাস টার্মিনাল আনন্দ বিহার মেট্রো স্টেশন | ||||
নির্মাণ | |||||
গঠনের ধরন | ভূমিগত | ||||
পার্কিং | হ্যাঁ | ||||
প্রতিবন্ধী প্রবেশাধিকার | |||||
অন্য তথ্য | |||||
অবস্থা | পরিচালনাগত | ||||
স্টেশন কোড | এএনভিটি | ||||
অঞ্চল | উত্তর রেল | ||||
বিভাগ | দিল্লি | ||||
ইতিহাস | |||||
চালু | ১৯ ডিসেম্বর ২০০৯ | ||||
বৈদ্যুতীকরণ | হ্যাঁ | ||||
| |||||
অবস্থান | |||||
এই স্টেশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে ২০০৯ সালের ১৯ শে ডিসেম্বর তৎকালীন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত উদ্বোধন করেন।[১] ৪২ হেক্টর (১০০ একর) জুড়ে বিস্তৃত টার্মিনালটি বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশনগুলির মধ্যে একটি এবং দ্বিতীয় পর্বটি চালু হওয়ার পরে দিল্লি থেকে সমস্ত পূর্বগামী ট্রেনসমূহকে পরিষেবা সরবরাহ করবে।
ইতিহাস
সম্পাদনাআনন্দ বিহার টার্মিনাল রেলওয়ে স্টেশনটি নয়াদিল্লির একটি টার্মিনাল স্টেশন হিসাবে নির্মিত হয়।
দিল্লি সরাই রোহিলা টার্মিনাল ও হযরত নিজামুদ্দিন টার্মিনাল হ'ল দিল্লি শহরের আরও দুটি রেল টার্মিনাল, যেখানে থেকে অনেক আঞ্চলিক ও দূরপাল্লার ট্রেনসমূহ যাত্রা শুরু করে অথবা যাত্রা সমাপ্ত করে।
পটভূমি
সম্পাদনাদিল্লি শহর যাত্রীদের ক্রমবর্ধমান চাপ মেটাতে রেল পরিবহনের উপর নির্ভর করে। অতীতে দিল্লি থেকে দূরপাল্লার ট্রেনসমূহ দিল্লি জংশন (পুরানো দিল্লি), নতুন দিল্লি ও হযরত নিজামুদ্দিন নামে তিনটি স্টেশন থেকে চলাচল করত। এই ধরনের উচ্চতর যাত্রীদের ভিড় পরিচালনা করতে স্টেশনসমূহের অবকাঠামোগত সুবিধার অভাব ছিল। এছাড়াও, দিল্লি হল উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও জম্মু ও কাশ্মীরের শহরগুলির সংযোগকারী স্টেশন। বিদ্যমান স্টেশনগুলিতে ক্রমবর্ধমান যাত্রীদের চাপের সাথে, উত্তর রেলের দ্বারা অতিরিক্ত বড় যাত্রী টার্মিনালের প্রয়োজনীয়তা চিহ্নিত করা হয়। দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড পশ্চিমবঙ্গ ও অন্যান্য উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলিতে পূর্বগামী ট্রেনগুলি যমুনা নদীর উপরের ব্রিজটি পার করতে হত, কারণ তিনটি স্টেশনই নদীর অপর পারে অবস্থিত। সুতরাং, একটি বৃহৎ-রেলওয়ে টার্মিনাল নির্মাণের জন্য ট্রান্স-যমুনা অঞ্চলে আনন্দ বিহারের অঞ্চলটি নির্বাচন করা হয়। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী নীতীশ কুমার ২০০৩ সালে ঘোষণা করেন যে আনন্দ বিহারে দিল্লি একটি নতুন রেল টার্মিনাল পাবে।[২][৩][৪] স্টেশনটি ২০০৩ রেল বাজেটে কমিশন করা হয়[৫] এবং ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে উত্তর রেল আনন্দ বিহার রেল স্টেশন প্রকল্পের প্রথম ধাপের পরামর্শদাতাদের নিয়োগের জন্য দরপত্র প্রদান করে।[৬] স্টেশনটির ভিত্তিপ্রস্তরটি তৎকালীন কেন্দ্রীয় রেলপথ মন্ত্রী নীতীশ কুমার ২০০৪ সালের ২৫ শে জানুয়ারি স্থাপন করেন।[৭] প্রথম পর্বটি ২০০৬ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার আশা করা হয়েছিল।[৮]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Anand Vihar railway terminal opens"। The Hindu। Chennai, India। ২০ ডিসেম্বর ২০০৯। ২৩ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-২০।
- ↑ Shruti Kohli (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৩)। "With rly station, Anand Vihar is prime property"। cities.expressindia.com। ৩১ মার্চ ২০০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-২০।
- ↑ "Delhi's biggest railway junction planned at Anand Vihar"। The Times of India। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১২-২০।
- ↑ "City to get new rail terminal at Anand Vihar"। The Times of India। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৩। ২০১১-০৮-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৫-১০।
- ↑ Dwaipayan Ghosh (৩ জুন ২০০৯)। "3-in-1 transport hub at Anand Vihar"। The Times of India। ২০১২-১১-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-২৪।
- ↑ Sharma, Nidhi (১১ ডিসেম্বর ২০০৩)। "'Model' railway station at Anand Vihar"। The Times of India। ২০১১-০৮-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৫-১০।
- ↑ "Railway Minister to lay foundation for Anand Vihar Coaching Terminal"। pib.nic.in। ২৩ জানুয়ারি ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৭।
- ↑ Sharma, S K (১ ফেব্রুয়ারি ২০০৪)। "Anand Vihar on fast track"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৬-২৭।