আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা
আধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার একটি উল্লেখযোগ্য আলিয়া মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটি ১৯৮০ সালে মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসাটির কামিল স্তর ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রয়েছে এবং দাখিল ও আলিম স্তর বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে রয়েছে।[১] মাদ্রাসাটির ফাজিল স্তর সর্বপ্রথম ২০০৬ সালে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি লাভ করে এরপরে ২০১৬ সালে মাদ্রাসাটি পুনরায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তিতে স্থানান্তর করা হয়।[২] এই মাদ্রাসার ইআইআইএন সংখ্যা হলো ১০৪৫৭১ এবং এমপিও সংখ্যা হলো ২১৮০৮২৩০৩।[৩] মাদ্রাসাটিতে ইসলামি শিক্ষার সমন্বয়ে পাঠদান করা হয়।[২] মাদ্রাসার বর্তমান অধ্যক্ষের নাম আবু মুছা মোহাম্মদ খালেদ জামিল।
ধরন | এমপিও ভুক্ত |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৮০ |
প্রতিষ্ঠাতা | মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া (২০০৬- ২০১৬) ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৬- বর্তমান) |
অধ্যক্ষ | আবু মুছা মোহাম্মদ খালেদ জামিল |
মাধ্যমিক অন্তর্ভুক্তি | বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড |
শিক্ষার্থী | আনু. ২০০০ |
ঠিকানা | , , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহুরে |
ইআইআইএন সংখ্যা | ১০৪৫৭১ |
ক্রীড়া | ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, ব্যাটমিন্টন |
এমপিও সংখ্যা | ২১৮০৮২৩০৩ |
ওয়েবসাইট | 104571 |
অবস্থান
সম্পাদনাআরকান সড়ক খ্যাত চট্টগ্রাম - কক্সবাজার মহাসড়কে পশ্চিম পার্শ্বে একটি দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে মাদরাসা ক্যাম্পাস অবস্থিত।
শিক্ষা কার্যক্রম
সম্পাদনাআধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসাটি ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড কতৃক ১৯৮৯ সালে দাখিল, ১৯৯৩ সালে আলিম, এবং ১৯৯৬ সালে ফাজিল মনজুরি লাভ করে। এরপরে ২০০৬ সালে মাদ্রাসাটি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত হয়, এবং ২০১৬ সালে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধীনে স্থানান্তরিত হয়। অত্র দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে কামিল তাফসীর বিভাগ পাঠদানের অনুমতিপ্রাপ্ত হয় ২০২০ সালে। এই দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরীব অসহায় ও এতিম ছাত্রদের জন্য এতিমখানা ও লিল্লাহবোর্ডিং'। রয়েছে ৪০ জন শিক্ষার্থীকে পবিত্র কুরআন তাজবীদ সহকারে হিফজ করানোর জন্য সুপরিচালিত একটি 'হেফজখানা'।[৪]
অবকাঠামো
সম্পাদনাআধুনগর ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার ফটকের সামনে মসজিদের ১২০ ফুট দীর্ঘ সুউচ্চ ও কারুকার্য খচিত দৃষ্টিনন্দন মিনার। পশ্চিমে দু'তলা বিশিষ্ট অসাধারণ ডিজাইনের বিশাল মসজিদ। উত্তরে রয়েছে একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, হেফজখানা ও গ্রন্থাগার ভবন, ছাত্রাবাস ভবন, তাছাড়া মাদরাসার ভবন সমূহের সামনে রয়েছে বিশাল বিশাল দুটি মাঠ। এই মাদরাসায় দূর দূরান্তের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল ছাত্রাবাসের আবাসিক ব্যবস্থা। ছাত্রাবাসে ২৫০ শিক্ষার্থীর জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "গভর্নিং বডি – চট্টগ্রাম বিভাগের আলিয়া মাদ্রাসা – Islamic Arabic University"। iau.edu.bd। ২০২৪-০৫-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-২৭।
- ↑ ক খ "আধুনগর ইসলামিয়া মাদ্রাসা কামিল স্তরে উন্নতি"। lohagagaranews24.com।
- ↑ "আধুনগর ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা"। সহপাঠী ওয়েবসাইট। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-০১।
- ↑ "আধুনগর ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস"। মাদরাসার ওয়েবসাইট। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৫-০১।