আদুর গোপালকৃষ্ণন
আদুর গোপালকৃষ্ণন আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি মালয়ালম ভাষায় চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। তিনি ১৭টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও ১৭টি কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং টানা ছয়টি চলচ্চিত্রের জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে জুরি সমালোচক পুরস্কার লাভ করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৪ সালে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার,[১] এবং ২০০৬ সালে পদ্মবিভূষণ লাভ করেন।[২]
আদুর গোপালকৃষ্ণন | |
---|---|
അടൂർ ഗോപാലകൃഷ്ണൻ | |
জন্ম | মৌথথু গোপালকৃষ্ণন উন্নিথন ৩ জুলাই ১৯৪১ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
মাতৃশিক্ষায়তন | ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া |
পেশা | চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক |
কর্মজীবন | ১৯৬৫-বর্তমান |
পুরস্কার | পদ্মবিভূষণ (২০০৬) পদ্মশ্রী (১৯৮৪) |
ওয়েবসাইট | www |
প্রাথমিক জীবন
সম্পাদনাগোপালকৃষ্ণন ১৯৪২ সালের ৩ জুলাই ভারতের অদূর (বর্তমান কেরালা) অবস্থিত মন্নাদিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মাধবন উন্নিথন এবং মাতা মৌত্থাথু গৌরি কুঞ্জম্মা। আট বছর বয়সে তিনি অভিনেতা হিসেবে বিভিন্ন নাটকে অভিনয় করেন। পরে তিনি নাটক লেখা ও নির্দেশনায় মনোযোগ দেন। গান্ধীগ্রাম রুরাল ইনস্টিটিউট থেকে অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ও লোক প্রশাসনে ডিগ্রি অর্জন করে তিনি তামিল নাড়ুর কাছে দিনদিগুলে সরকারী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি সরকারী চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউট-এ চিত্রনাট্য ও পরিচালনা বিষয়ে পড়াশুনা করেন। তিনি সেখানে ভারত সরকারের বৃত্তিসহ তার পড়াশুনা শেষ করেন। তার সহপাঠী ও বন্ধুদের নিয়ে তিনি চিত্রলেখা ফিল্ম সোসাইটি ও চলচ্চিত্র সহকর্ণ সংঘম গড়ে তোলেন।[২]
কর্মজীবন
সম্পাদনাগোপালকৃষ্ণন পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র স্বয়ংবরম ১৯৭২ সালে মুক্তি পায়। সত্যজিৎ রায়ের পথের পাঁচালীর পর এটিই কোন ভারতীয় পরিচালকের প্রথম চলচ্চিত্র যা এতটা খ্যাতি অর্জন করে।[৩] নব বিবাহিত এক দম্পতি নতুন জীবন শুরু গল্প নিয়ে তৈরি সাদাকালো চলচ্চিত্রটি মালয়ালম ভাষার চলচ্চিত্রে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। চলচ্চিত্রটি মস্কো, মেলবোর্ন, প্যারিস, লন্ডনের চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। গোপালকৃষ্ণন শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ও শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[৩] তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র কোদিয়েত্তম মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে। ছবিটি শ্রেষ্ঠ মালয়ালম ভাষার চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে এবং গোপালকৃষ্ণন শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ কাহিনীর জন্য কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।[৩]
তার পরবর্তী চলচ্চিত্র এলিপ্পাথায়াম ১৯৮১ সালে মুক্তি পায়। এটি গোপালকৃষ্ণন পরিচালিত অন্যতম সেরা চলচ্চিত্র। ছবিটি কান চলচ্চিত্র উৎসব[৪] সহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। এটি সেরা মৌলিক ও কল্পনামূলক চলচ্চিত্র হিসেবে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট পুরস্কার,[১] লন্ডন চলচ্চিত্র উৎসবে সাদারল্যান্ড ট্রফি, এবং শ্রেষ্ঠ মালয়ালম ভাষার চলচ্চিত্রের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে।[৩] পরবর্তীতে তিনি মুখমুখম (১৯৮৪), অন্তরাত্মাম (১৯৮৭), মাথিলুকাল (১৯৯০), বিধেয়ান (১৯৯৩), ও কালপুরুষণ (১৯৯৫) চলচ্চিত্রের জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুরি সমালোচক পুরস্কার লাভ করেন।[১]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ গ "Adoor selected for Phalke award"। দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। নতুন দিল্লি। ৬ সেপ্টেম্বর ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৭।
- ↑ ক খ "Adoor Gopalakrishnan completes 50 years in cinema"। দ্য নিউজ মিনিট (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৭।
- ↑ ক খ গ ঘ Kumar, P.K. Ajith (৩ জুলাই ২০১৬)। "Adoor Gopalakrishnan: The Master at 75"। দ্য হিন্দু (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৭।
- ↑ "ELIPPATHAYAM"। কান চলচ্চিত্র উৎসব (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ মে ২০১২। Archived from the original on ১ অক্টোবর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৭।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে আদুর গোপালকৃষ্ণন (ইংরেজি)
- Adoor's oeuvre
- Adoor in Action collection of photos of Adoor
- Weblokam profile
- Weblokam profile Main Page
- Official site: Profile ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে