জনশুমারি
কোন দেশের বা কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের মানুষ গণনাকেই মূলত জনশুমারি বলা হয়। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই নিজস্ব জনশুমারির ব্যবস্থা রয়েছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশেও প্রতি দশ (১০) বছর অন্তর অন্তর জনশুমারি করা হয়। পূর্বে একে আদমশুমারী বলা হলে ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদে পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ পাস হওয়া আইন অনুসারে আদমশুমারিকে ‘জনশুমারি’ নামে অভিহিত করা হয়েছে। ১০ বছরের ধারাবাহিকতায় পরবর্তী জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ সালের ২৪ থেকে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। বৈশ্বিক মহামারি করোনা ও ট্যাব জটিলতায় প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু একাধিকবার পিছিয়েছে। প্রথমে ২০২১ সালের ২ থেকে ৮ জানুয়ারি দেশব্যাপী জনশুমারি হওয়ার কথা ছিল। পরে সেটি প্রায় নয় মাস পিছিয়ে ২৫ থেকে ৩১ অক্টোবর সময় পুনর্নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সে মেয়াদেও জনশুমারি করতে পারেনি বিবিএস। এরপর ২৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী জনশুমারি ও গৃহগণনার পরিকল্পনা হয়। তাই ষষ্ঠ জনশুমারি ১৫ জুন থেকে ২১ জুন ২০২২ খ্রি.
জনশুমারি
সম্পাদনাজনশুমারি একটি দেশের জনসংখ্যার সরকারি গণনা হিসেবে গণ্য করা হয়। জাতিসংঘের সংজ্ঞা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে জনশুমারি একটি জনগোষ্ঠীর বা দেশের জনসংখ্যা গণনার সামগ্রিক প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহ, তথ্য একত্রীকরণ এবং জনমিতিতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক তথ্যাদি প্রকাশ করা বোঝায়। বাংলাদেশে প্রথম জনশুমারি ১৯৭৪ সালে হয়েছিল। একটি দেশে জনশুমারি সাধারণত দশ বছর পর পর হয়।
বৈশিষ্ট্যসমূহ
সম্পাদনা- প্রতিটি ব্যক্তির তথ্য গণনা
- একটি চিহ্নিত এলাকায় সামষ্টিক গণনা
- একই সঙ্গে সারাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা এবং
- নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে অনুষ্ঠান।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "আদমশুমারি"। http://bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৫।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "রাষ্ট্রপতিকে গণনাভুক্ত করে পঞ্চম আদমশুমারি শুরু"। বিডিটুডেনিউজ। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "অনিয়ম ও দলীয়করণের মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে আদমশুমারি"। সাপ্তাহিক সোনার বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১১।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]