আতা আবু রাশতা
আতা বিন খলিল আবুল রাশতা (আরবি: عطاء بن خليل أبو الرشتة; জন্ম: ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দ) হলেন একজন ফিলিস্তিনি ইসলামী আইনবিদ, পণ্ডিত ও লেখক। তিনি ইসলামবাদী রাজনৈতিক দল হিযবুত তাহরীরের বিশ্ব নেতা। তিনি উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় জর্ডানে খ্যাতি অর্জন করেন এবং তখন কুয়েতে ইরাক আক্রমণের সমালোচক ছিলেন।[১][২]
আতা বিন খলিল আবুল রিশতা | |
---|---|
হিজবুত তাহরীরের ৩য় বিশ্ব নেতা | |
অফিসে ১১ এপ্রিল, ২০০৩ | |
পূর্বসূরী | আবদুল কাদিম জাল্লুম |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৯৪৩ (বয়স ৮০–৮১) রা'না, ফিলিস্তিন |
ধর্ম | ইসলাম |
আখ্যা | সুন্নি |
যেখানের শিক্ষার্থী | |
কাজ |
জীবনী
সম্পাদনাআতা আবুল রাশতা ফিলিস্তিনের রা'না গ্রামে একটি ঐতিহাসিক ইসলামি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তবে ১৯৪৮ সালে তার পরিবারকে রানা থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং হেবরনের কাছে একটি শরণার্থী শিবিরে চলে যান, যেখানে তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ করেন।
১৯৬০ সালে তিনি হেবরনের আল হুসেইন বিন আলী স্কুল থেকে স্নাতক হন এবং ১৯৬১ সালে জেরুযালেমে অবস্থিত ইব্রাহিমিয়া স্কুলে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট সম্পন্ন করেন। পরে মিশরের কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদে গৃহীত হন এবং তিনি ১৯৬৬ সালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিঙে স্নাতক হন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে বেশ কয়েকটি আরব দেশে কাজ করেন এবং ভবন ও রাস্তা নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিমাণ ও গণনার উপর একটি বই লিখেছেন।
রাজনীতি
সম্পাদনাতিনি ১৯৫০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়েই হিজবুত তাহরীরে যোগদান করেন এবং দলের প্রতিষ্ঠাতা তকি উদ্দিন আন-নাবহানি এবং ১৯৭৭9 সালে নাবহানীর মৃত্যুর পর তার স্থলাভিষিক্ত আবদুল কাদিম জাল্লুমের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন। ১৯৮০ এর দশকে আবু রাশতা জর্ডানে হিযবুত তাহরীরের একজন নেতৃস্থানীয় সদস্য ছিলেন এবং এর প্রথম সরকারি মুখপাত্র নিযুক্ত হন।[৩]
পারস্য উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় আবু রাশতা জর্ডানে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন, যখন তিনি সারা দেশে জনসম্মুখে প্রেস কনফারেন্স, বক্তৃতা ও বিতর্ক আয়োজন করেন। তখন তিনি আম্মানের জেরুজালেম মসজিদে কুয়েতে ইরাকি আক্রমণ নিয়েও বিতর্ক করেন, যেখানে তিনি আরব উপদ্বীপ ও উপসাগরে নিও-ক্রুসেডার অ্যাসাল্ট শীর্ষক একটি বক্তৃতা দেন। এর ফলে জর্ডান কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করে।[৪]
১৯৯৪ সালের একটি সাক্ষাত্কারে আতা আবু রাশতা বলেছিলেন:[৪]
খিলাফত প্রতিষ্ঠা এখন মুসলিমদের মধ্যে একটি অতি সাধারণ দাবি, যা তাদের জন্য আকাঙ্ক্ষিত বিষয়। কারণ এখন মিশর, সিরিয়া, তুরস্ক, পাকিস্তান, আলজেরিয়া ইত্যাদি দেশে খেলাফতের আহ্বান ব্যাপক। হিযবুত তাহরীর নিজের কর্মজীবন শুরু করার আগে, খিলাফতের বিষয়টি প্রায় অজানা ছিল। যাহোক দলটি নিজের বুদ্ধিবৃত্তিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সফল হয়েছে এবং এখন সবাই তার ধারণার উপর আস্থা রেখেছে এবং এটি নিয়ে কথা বলছে: এটি বিশ্বব্যাপী মিডিয়া থেকে স্পষ্ট।
১৯৯৫ সালে আল-হিওয়ার জার্নালে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারের জন্য রাশতাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে একটি "লাইসেন্সবিহীন সংগঠনের" সদস্য হওয়ার কারণে তাকে আরও ছয় মাসের জন্য কারারুদ্ধ করা হয়েছিল।[৫]
আবদুল কাদিম জাল্লুমের মৃত্যুর পর ২০০৩ সালের ১৩ এপ্রিল তিনি হিজবুত তাহরীরের বিশ্বব্যাপী নেতা হয়ে ওঠে। এই অবস্থান গ্রহণ করার পর থেকে, তিনি তার নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করেন এবং পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, ইয়েমেন ও যুক্তরাজ্যে সম্মেলনে বক্তৃতা করেন।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "حزب التحرير تأسس 1953.. وأميره عطا ابو الرشتة من مخيم الفوار | دنيا الوطن"। web.archive.org। ২০২২-১০-২৯। Archived from the original on ২০২২-১০-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "المكتب الإعلامي - موقع أمير حزب التحرير"। archive.hizb-ut-tahrir.info। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-২৬।
- ↑ "The Ameer"। Hizb ut-Tahrir Britain (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১৯।
- ↑ ক খ Suha Taji-Farouki, A Fundamental Quest – Hizb ut-Tahrir and the Search for the Islamic Caliphate, p. 156, Grey Seal, London 1996
- ↑ "The Prison Memoirs – with Sh. Ata ibn Khalil"। Hizb ut-Tahrir Australia (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৪-০১-২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-১৯।
- ↑ "Website"। Hizb-ut-tahrir.info।