আগা সাদাত আলী

পাকিস্তানী ক্রিকেটার

আগা সাদাত আলী (উর্দু: آغا سعادت علی‎‎; জন্ম: ২১ জুন, ১৯২৯ - মৃত্যু: ২৫ অক্টোবর, ১৯৯৫) তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের লাহোর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার, কোচ ও আম্পায়ার ছিলেন। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

আগা সাদাত আলী
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
আগা সাদাত আলী
জন্ম(১৯২৯-০৬-২১)২১ জুন ১৯২৯
লাহোর, পাঞ্জাব, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমানে পাকিস্তান)
মৃত্যু২৫ অক্টোবর ১৯৯৫(1995-10-25) (বয়স ৬৬)
লাহোর, পাঞ্জাব, পাকিস্তান
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
ভূমিকাব্যাটসম্যান, আম্পায়ার, কোচ, প্রশাসক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ২২)
৭ নভেম্বর ১৯৫৫ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৭
রানের সংখ্যা ৩২৫
ব্যাটিং গড় - ১৩.৫৪
১০০/৫০ -/- -/-
সর্বোচ্চ রান ৮* ৫৬
বল করেছে - ১৫২
উইকেট -
বোলিং গড় - ৬২.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - ১/৪৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩/- ৮/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৭ জুন ২০২০

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে বাহাওয়ালপুর, লাহোর, পাঞ্জাব ও পাকিস্তান ইউনিভার্সিটিজ দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

সম্পাদনা

১৯৪৯-৫০ মৌসুম থেকে ১৯৬১-৬২ মৌসুম পর্যন্ত আগা সাদাত আলী’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। পাকিস্তানি ক্রিকেটের সূচনালগ্নে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা খুব কম অনুষ্ঠিত হওয়ায় তেমন অংশ নিতে পারেননি।

ইমতিয়াজ আহমেদ, খান মোহাম্মদ ও পার্সি ক্রিকেটার রুসি দ্বীনশয়ের সাথে তার ক্রিকেট প্রতিভা তুলনীয় ছিল। আল্ফ গোভার স্কুলে ক্রিকেট প্রশিক্ষণে প্রথম স্তরের ছাত্র ছিলেন। তবে, শুরুরদিকের প্রত্যাশা দূর্ভাগ্যজনকভাবে বাস্তবরূপ লাভ করেনি।

১৯৪৮ সালে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান একাদশের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীবিহীন খেলাগুলোয় অংশ নেন। ১৯৪৯ সালে কমনওয়েলথ দলের মুখোমুখি হন। ১৯৪৯-৫০ মৌসুমে পাকিস্তান ইউনিভার্সিটিজের সদস্যরূপে সিলনের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। ১৯৬১-৬২ মৌসুমে লাহোর বি দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে সতেরোটি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিতে পেরেছিলেন। ব্যাটসম্যান হিসেবে খুব কমই সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। ১৩.৫৪ গড়ে ৩২৫ রান তুলেছিলেন। এছাড়াও, এক উইকেট লাভসহ আটটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। তবে, পাকিস্তানের অন্যতম সেরা ফিল্ডার হিসেবে নিজেকে পরিচিতি করে তুলেছিলেন।[]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সম্পাদনা

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন আগা সাদাত আলী। ৭ নভেম্বর, ১৯৫৫ তারিখে ঢাকায় সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে করাচীতে সফররত নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে দূর্দান্ত ফিল্ডিং করেন। এ পর্যায়ে তিনি দ্বাদশ ব্যক্তির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এরফলে, ঢাকায় অনুষ্ঠিত পরের টেস্টে অন্তর্ভুক্ত হন। অপরাজিত ৮ রানসহ তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেন।

ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর আম্পায়ারিত্বের দিকে ঝুঁকে পড়েন। ১৯৭৮ সালে একটি একদিনের আন্তর্জাতিকে আম্পায়ার হিসেবে খেলা পরিচালনা করেছিলেন তিনি।[] জাতীয় পর্যায়ে কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিসিসিপি’র সহকারী সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও, লাহোরভিত্তিক বিলিয়ার্ড ও স্নুকার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিত্ব করেন।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। তার উভয় সন্তান প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। অতঃপর, ২৫ অক্টোবর, ১৯৯৫ তারিখে ৬৬ বছর বয়সে পাঞ্জাবের লাহোর এলাকায় আগা সাদাত আলী’র দেহাবসান ঘটে।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. Wisden 1996, p. 1391.
  2. "Agha Saadat Ali"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৪ 

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা