আউয়াল মসজিদ
আউয়াল মসজিদ (অন্যভাবে আওয়াল, ওয়াল বা ওউয়াল উচ্চারিত) হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউন শহরের বো-কাপে অবস্থিত মসজিদ, যা দক্ষিণ আফ্রিকাতে প্রতিষ্ঠিত প্রথম মসজিদ হিসাবে স্বীকৃত। ‘আউয়াল’ শব্দের অর্থ প্রথম।[১]
আউয়াল মসজিদ | |
---|---|
অবস্থান | বো-কাপ, কেপ টাউন, দক্ষিণ আফ্রিকা |
স্থানাঙ্ক | ৩৩°৫৫′২০″ দক্ষিণ ১৮°২৪′৫৪″ পূর্ব / ৩৩.৯২২২২° দক্ষিণ ১৮.৪১৫০০° পূর্ব |
নির্মিত | ১৮শ শতক |
স্থাপত্যশৈলী | ইসলামিক |
ইতিহাস
সম্পাদনা১৭৯৪ সালে, ভ্রিজওয়ার্টেন (মুক্ত হওয়া কৃষ্ণাঙ্গ দাস) ক্রিডন ভ্যান সিলোনের অধিকৃত জমিতে ব্রিটিশদের কেপ দখলদারিত্বের সময় এটি নির্মিত হয়েছিল।[২] ক্রিডনের কন্যা সার্টজি ভ্যান ডি কাপের গুদাম হিসাবে ব্যবহৃত সম্পত্তি উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিলেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম মসজিদ হিসাবে ব্যবহারের জন্য দান করেছিলেন। মসজিদটি ১৭৯৪ সালে নির্মিত হয়েছিল; যা ১৯০৭ সালে প্রথম এবং পরবর্তীতে ১৯৩৬ সালে ব্যাপকভাবে সংস্কার করা হয়েছিল। এটি সর্বপ্রথম মসজিদ ছিল, যেখানে সর্বজনীন নামাজ পড়ানো হত এবং এখানেই কেপ মুসলিম ঐতিহ্যবাহী এবং আরবি-আফ্রিকান ভাষা শেখানো হতো। এটি ইসলামের স্বীকৃতি এবং দাসদের ইবাদতের স্বাধীনতার প্রতীক হিসাবে পরিচিত।
আবদুল্লাহ ইবনে কাদি আল-সালাম (যিনি সম্মানের সাথে তুয়ান গুরু হিসেবে পরিচিত) মসজিদের প্রথম ইমাম হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। তুয়ান গুরু ছিলেন একজন ধর্মীয় নেতা, যিনি ১২ বছর আফ্রিকার রোবেন দ্বীপে বন্দি ছিলেন। কারাগারে থাকাকালীন সময়ে তিনি তার স্মৃতি থেকে পুরো কুরআন রচনা করেছিলেন।[১] বর্তমানে এই কুরআনটি আউয়াল মসজিদে রয়েছে। তুয়ান গুরু মসজিদটিকে মাদ্রাসা বা "ধর্মীয় স্কুল" হিসাবেও ব্যবহার করেছিলেন, যেখানে তিনি শিশুদের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের উভয়কেই ইসলামের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। গুরুর মৃত্যুর পরে সর্টজি ভ্যান ডি কাপের স্বামী বাংলার আছমাদ ইমামের পদ গ্রহণ করেছিলেন। এই পরিবারটির শেষ ইমাম গাসান আছমত ১৯৮০ সালে মারা যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তার পরিবারের সদস্যরা এই পদে ছিলেন। সেই অবস্থানটিতে শেখ সালিহ আবাদীর নিজের পছন্দ অনুযায়ী বেশ কয়েকজন ইমাম দ্বারা পূরণ করেছেন। বর্তমানে মওলানা মুহাম্মাদ কার ও শেখ ইসমাইল লন্ডত এই মসজিদের যৌথ ইমাম হিসেবে কাজ করছেন।
ধর্মীয় সংসদের পরবর্তী ইমামকে হবেন তা নিয়ে বিতর্কের কারণে আউয়াল জামাতের একটি অংশ ১৮০৭ সালে বিভক্ত হয়ে যায় এবং কেপটাউনে লং স্ট্রিটের পাম গাছ মসজিদ নামে দ্বিতীয় একটি মসজিদ গঠন করে।[৩]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ ক খ মহীন, রীয়াদ (১৯ জুলাই ২০২০)। "বো-কাপ পুরোটাই যেন স্বাধীনতার রঙ"। বাংলা ট্রিবিউন। ১৯ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জুলাই ২০২০।
- ↑ Michael Hutchinson (২০০৬)। Bo-Kaap: Colourful Heart of Cape Town। New Africa Books। পৃষ্ঠা 3–। আইএসবিএন 978-0-86486-693-6। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১২।
- ↑ Nigel Worden; Elizabeth Van Heyningen (২০০৪)। Cape Town: The Making of a City। New Africa Books। পৃষ্ঠা 126–। আইএসবিএন 978-0-86486-656-1। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১২।