অ আলকেমিস্তা
দি আলকেমিস্ট (পর্তুগিজ: O Alquimista) হচ্ছে ব্রাজিলিয়ান লেখক পাওলো কোয়েলহো রচিত একটি বিখ্যাত উপন্যাস, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৮ সালে। এটি মূলত পর্তুগিজ ভাষায় রচিত হয় এবং অক্টোবর ২০১৪ পর্যন্ত অন্তত ৮০ টি ভাষায় অনুদিত হয়েছে।[১]
লেখক | পাওলো কোয়েলহো |
---|---|
মূল শিরোনাম | পর্তুগিজ: O Alquimista |
অনুবাদক | অ্যালান আর ক্লার্ক |
প্রচ্ছদ শিল্পী | কারাভাজ্জো, "নার্সিসাস", ১৫৯৭-৯ |
দেশ | ব্রাজিল |
ভাষা | পর্তুগিজ |
ধরন | অন্বেষণ, দুঃসাহসিক, ফ্যান্টাসি |
প্রকাশক | হার্পারটাট (ইংরেজি অনুবাদ) |
প্রকাশনার তারিখ | ১৯৮৮ |
ইংরেজিতে প্রকাশিত | ১৯৯৩ |
মিডিয়া ধরন | ছাপা (শক্তমলাট, পেপারব্যাক, আইটিউন্স) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ১৬৩ (প্রথম ইংরেজি সংস্করণ, শক্তমলাট) ২০৮ (২৫তম বার্ষিকী সংস্করণ) |
আইএসবিএন | ০-০৬-২৫০২১৭-৪ (প্রথম ইংরেজি সংস্করণ, শক্তমলাট) |
ওসিএলসি | ২৬৮৫৭৪৫২ |
869.3 | |
পূর্ববর্তী বই | দা ফিলগ্রিমেজ (১৯৮৭) |
পরবর্তী বই | ব্রিডা (১৯৯০) |
দি আলকেমিস্ট একটি রূপকধর্মী উপন্যাস যেখানে নায়ক একজন তরুণ আন্দালুসিয়ান মেষপালক। সে তার জন্মস্থান স্পেন থেকে স্বপ্নে দেখা রত্ন অন্বেষণ করতে মিশর গমন করলে সেখানে একজন আলকেমিস্টের সাথে তার দেখা হয় এবং এভাবে কাহিনী আবর্তিত হতে থাকে।
প্লট
সম্পাদনাদি আলকেমিস্ট, সান্তিয়াগো নামের আন্দালুসিয়ার এক সরল ভ্রমণ পিপাসু বালকের গল্প। তার অনেক ভেড়া রয়েছে, যেগুলো তার ভ্রমণসঙ্গী, এবং সে এদের ভাষা বোঝে। বালকটি নবুয়াতপ্রাপ্তির জন্য একটি পুনরাবৃত্ত স্বপ্ন বিশ্বাস করে, এবং নিকটবর্তী শহরে এক জিপসি ভাগ্য বক্তার নিকট এর অর্থ জানতে চায়। মহিলাটি স্বপ্নটিকে একটি ভবিষ্যদ্বাণী হিসাবে ব্যাখ্যা করেন ছেলেটিকে জানায় যে সে মিশরীয় পিরামিডগুলিতে গুপ্তধন আবিষ্কার করবে। মহিলাটি স্বপ্ন ব্যাখ্যার বিনিময়ে বালকের সেই স্বপ্ন পূরণের মাধ্যমে যে গুপ্তধন পাবে তার দশ ভাগের এক ভাগ চায়।
তার যাত্রার প্রথম দিকে, সে মল্কীজেদক নামে একজন পুরাতন রাজা বা সালামের রাজার সাথে সাক্ষাত করে, যিনি তাকে স্বপ্ন পূরণের জন্য উদ্ভুদ্ধ করেন এবং তাকে তার ভেড়া বিক্রি করতে বলেন, যাতে সে মিশরে যাওয়ার অর্থ যোগানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত কিংবদন্তির ধারণাটি প্রবর্তন করতে পারে। রাজা তাকে বলে, তার ব্যক্তিগত কিংবদন্তি "যা সে বরাবরই অর্জন করতে চেয়েছিল তা হল প্রত্যেকে, যখন তারা যুবক হয়, তখন তাদের ব্যক্তিগত কিংবদন্তিটি কী তা জানে।"[২]
আফ্রিকা পৌঁছানোর প্রথমদিকে, একজন ব্যক্তি সান্তিয়াগোকে পিরামিডে পৌছে দেবার আশ্বাস দিয়ে তার ভেড়া বিক্রিত অর্থ ছিনিয়ে নেয়। সান্তিয়াগো তারপরে একটি কাচ সামগ্রী বিক্রেতার দোকানে কাজের বিনিময়ে খাদ্য দিতে বলে। এরপর সে দীর্ঘ পথে যাত্রা শুরু করে যাতে তার ব্যক্তিগত কিংবদন্তিটি পূর্ণ করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থোপার্জন করতে পারে এবং পিরামিডে পৌছানো যায়। এজন্য টাকা জমাতে সে দোকানে থেকে যায়। বালকের বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে কয়েকদিনেই দোকানের ব্যাপক উন্নতি হয়। বালক কিছু দিনের মধ্যেই খরচ জমা করে ফেলে দ্বিগুণ।
পুনরায় যাত্রাকালে পথে, বালটির এক ইংরেজ ব্যক্তির সাথে দেখা হয়, যিনি একজন কেমিস্টের সন্ধানে এসেছিলেন। সান্তিয়াগো নতুন সঙ্গীর সাথে ভ্রমণ চালিয়ে যান। মরূদ্যানে পৌঁছানোর পর, সান্তিয়াগোর ফাতেমা নামে আরবিয় এক মেয়ের প্রেমে পড়ে, যার কাছে সে বিয়ের প্রস্তাব রাখে। তবে মেয়েটি বলকের যাত্রা শেষ করার পরেই তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করবে জানায়। বালকটি প্রথমে হতাশ হয়ে পরে। সে শিখেছিল যে সত্যিকারের ভালবাসা থেমে থাকে না বা তার জন্য তার ব্যক্তিগত নিয়তির জন্য কোন ত্যাগও করতে হবে না, কেননা সত্যকে তা ছিনিয়ে নেওয়া।
তারপরে বালকটির সাথে একজন বিজ্জ্ঞানী কেমিস্টের সাক্ষাত ঘটে যিনি তাকে তার আসল আত্মা উপলব্ধি করতে শেখায়। মরুতে যখন সকলে বিশ্রামের জন্য তাবু স্থাপন করে তখন একজন ঘেড়সাওয়ারীর সাথে সান্তেনিওর ভাব হয়। সে জানতে পারে ইংরেজ যে ব্যক্তিকে তার আজীবন খুঁজে চলছে, সেই সে আলকেমিস্ট। সেই আলকেমিস্ট বালকের স্বপ্ন পূরণের জন্য সাথী করে নেয়। ঘোড়ায় আরোহন করে দুজন তাদের রোমাঞ্চকর যাত্রা শুরু করে। নানান প্রতিঘাত পের হয়ে আলকেমিস্ট তাকে তার কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছে দেয়। কিন্তু পিরামিডের কাছে সেই গুপ্তধন পাওয়া যায় নি। সেগুলো পেয়েছিল...।
পটভূমি
সম্পাদনাপাওলো কোয়েলহো এই উপন্যাসটি মাত্র ২ সপ্তাহে ১৯৮৭ সালে লিখেছিলেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, "এটি আমার হৃদয়ে ছিল বলে আমার লিখতে তেমন বেগ পেতে হয়নি।" [৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Cowles, Gregory (২০০৯-১০-০৮)। "Inside the List"। The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-২৮।
- ↑ The Alchemist, HarperCollins paperback, 1998, p.21
- ↑ Pool, Hannah (২০০৯-০৩-১৯)। "Question time"। The Guardian। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-২৭।