অ্যালিসন জ্যানি
অ্যালিসন ব্রুকস জ্যানি (ইংরেজি: Allison Brooks Janney, জন্ম: ১৯শে নভেম্বর, ১৯৫৯)[২] হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী। তিনি তার অভিনয়ের বৈচিত্রতার জন্য প্রসিদ্ধ। অভিনয়ের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে একটি একাডেমি পুরস্কার,[৩] একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার,[৪] একটি বাফটা পুরস্কার,[৫] সাতটি প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার, সাতটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার, ছয়টি ক্রিটিকস চয়েস চলচ্চিত্র পুরস্কার ও দুটি ড্রামা ডেস্ক পুরস্কার।
অ্যালিসন জ্যানি | |
---|---|
Allison Janney | |
জন্ম | অ্যালিসন ব্রুকস জ্যানি নভেম্বর ১৯, ১৯৫৯ |
মাতৃশিক্ষায়তন | |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৮৪–বর্তমান |
উচ্চতা | ৬ ফুট ০ ইঞ্চি (১.৮৩ মিটার)[১] |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনে জন্মগ্রহণ করা জ্যানি ওহাইওর ডেটনে বেড়ে ওঠেন। কেনিয়ন কলেজ থেকে পড়াশুনা শেষ করে ১৯৮৪ সালের গ্রীষ্মে তিনি রয়্যাল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্টে পড়াশুনা করার জন্য বৃত্তি লাভ করেন। ১৯৯১ সালে সিবিএসের টেলিভিশন ধারাবাহিক মর্টন অ্যান্ড হায়েস-এর দুটি পর্বে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার টেলিভিশন পর্দায় অভিষেক হয়। টেলিভিশনে কাজের জন্য তার প্রাপ্ত সাতটি এমি পুরস্কারের প্রথম চারটি আসে এনবিসির নাট্যধর্মী টেলিভিশন ধারাবাহিক দ্য ওয়েস্ট উইং (১৯৯৯-২০০৬) এ অভিনয়ের জন্য। ২০১৪ সালে তিনি মাস্টার্স অব সেক্স ধারাবাহিকে মার্গারেট স্কালি চরিত্রে অভিনয়ের জন্য নাট্যধর্মী ধারাবাহিক অনন্য অতিথি অভিনেত্রী বিভাগে এমি পুরস্কার লাভ করেন। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে তিনি সিবিএসের মম (২০১৩-বর্তমান) ধারাবাহিকে বনি প্লাঙ্কেট চরিত্রে অভিনয়ের জন্য হাস্যরসাত্মক ধারাবাহিকে অনন্য পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে এমি পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯৬ সালে প্রেজেন্ট লাফটার নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে তার ব্রডওয়ে থিয়েটারে অভিষেক হয়। তিনি ১৯৯৭ সালে আ ভিউ ফ্রম দ্য ব্রিজ নাটকে অভিনয়ের জন্য ড্রামা ডেস্ক পুরস্কার লাভ করেন এবং টনি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০০৯ সালে তিনি ব্রডওয়ের সঙ্গীতনাট্য নাইন টু ফাইভ-এ অভিনয় করে আরেকটি টনি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনাঅ্যালিসন ব্রুকস জ্যানি ১৯৫৯ সালের ১৯শে নভেম্বর ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা ম্যাসি ব্রুকস (জন্মনাম: পুটনাম) ছিলেন একজন অভিনেত্রী এবং পিতা জার্ভিস স্পেন্সার "জার্ভ" জ্যানি জুনিয়র ছিলেন একজন রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার ও জ্যাজ সঙ্গীতজ্ঞ।[৬][৭] জ্যানির তিন ভাইবোন রয়েছে। তিনি ওহাইওর ডেটনে বেড়ে ওঠেন।
জ্যানি ডেটনের মিয়ামি ভ্যালি স্কুলে পড়াশুনা করেন। স্কুলটি ২০০৪ সালে তাকে তাদের কৃতি শিক্ষার্থীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।[৮] এছাড়া তিনি কানেক্টিকাটের হচকিস স্কুলে পড়াশুনা করেন। এই স্কুলটিও তাকে ২০১৬ সালে বর্ষসেরা কৃতি শিক্ষার্থী তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।[৮] তিনি পরবর্তীতে ওহাইওর গাম্বিয়েরের কেনিয়ন কলেজে ভর্তি হন। কেনিয়নে তার সহপাঠী ছিলেন অভিনেতা পল নিউম্যান। তিনি সেখানে বোল্টন থিয়েটারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একটি মঞ্চ নাটক নির্দেশনা করেন এবং এতে অভিনয় করেন। নিউম্যান ও তার স্ত্রী অভিনেত্রী জোয়ান উডওয়ার্ড তাকে অভিনয় চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করেন। তিনি নেইবারহুড প্লেহাউজ স্কুল থেকে অভিনয় বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। সেখানে একই বছরে প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছিলেন অভিনেতা ডিলান ম্যাকডারমট এবং জ্যানি ও চিত্রনাট্যকার স্টিভেন রজার্স একসাথে দুই বছর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।[৮][৯] পরবর্তীতে তিনি বৃত্তি পেয়ে ১৯৮৪ সালে লন্ডনের রয়্যাল একাডেমি অব ড্রামাটিক আর্টের গ্রীষ্মকালীন প্রোগ্রামে পড়াশুনা করেন।[১০]
ব্যক্তিগত জীবন
সম্পাদনা২০১৫ সালে এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয় জ্যানি ইন্টারন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অব থিয়েট্রিক্যাল স্টেজ এমপ্লয়িজের নির্মাণ ব্যবস্থাপক ফিলিপ জোনকাসের সাথে তার সম্পর্ক রয়েছে। জোনকাস তার চেয়ে ২০ বছরের ছোট।[১১][১২] ২০১৮ সালে জ্যানি তাদের দুজনের আলাদা হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পুরস্কার ও মনোনয়ন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Allison Janney On Sex, Sorkin And Being The Tallest Woman In The Room : NPR"। এনপিআর (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ আগস্ট ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Allison Janney Biography (1959–)"। Biography.com। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯।
- ↑ "অস্কারে সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রী অ্যালিসন জেনি"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ৫ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "৭৫তম গোল্ডেন গ্লোব বিজয়ী যারা"। আরটিভি অনলাইন। ৮ জানুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "বাফটা গেল যাদের ঝুলিতে"। দৈনিক ভোরের কাগজ। ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Allison Janney profile"। ফিল্ম রেফারেন্স (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "MACY B. PUTNAM ENGAGED TO WED; Bennett Alumna Is Fiancee of Jervis S. Janney Jr., a Graduate of Princeton"। দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস (ইংরেজি ভাষায়)। ১৫ ডিসেম্বর ১৯৫৬। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৮।
- ↑ ক খ গ "Allison Janney- Biography"। ইয়াহু! মুভিজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৮।
- ↑ Miller, Julie। "The Surreal Story of How Tonya Harding Inspired Awards Season's Scrappiest Contender"। vanityfair.com (ইংরেজি ভাষায়)। ভ্যানিটি ফেয়ার। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Archived copy" (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৩-০৫-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৮।
- ↑ Byrne, Suzy (২১ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "Allison Janney Won Her Historic Seventh Emmy, but All People Want to Talk About Is Her Hunky, Younger Boyfriend"। ইয়াহু! নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। ইয়াহু!। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৮।
- ↑ Corinthios, Aurelie (২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "Emmys 2015: 5 Things to Know About Allison Janney's Boyfriend, Philip Joncas"। পিপল (ইংরেজি ভাষায়)। টাইম। ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মার্চ ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে অ্যালিসন জ্যানি (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট ব্রডওয়ে ডেটাবেজে অ্যালিসন জ্যানি (ইংরেজি)
- ইন্টারনেট অফ-ব্রডওয়ে ডেটাবেজে অ্যালিসন জ্যানি (ইংরেজি)
- টার্নার ক্লাসিক মুভিজ ডেটাবেজে অ্যালিসন জ্যানি (ইংরেজি)
- এমিস.কমে অ্যালিসন জ্যানি
- "Allison Janney"। The Guardian। London, UK। জানুয়ারি ২৮, ২০০৮।