অ্যাবিসোব্রোটুলা গ্যালাথি
অ্যাবিসোব্রোটুলা গ্যালাথি (ইংরেজি: Abyssobrotula galatheae) হচ্ছে ওফাইডিডি পরিবারভুক্ত কুস্ক বাইন পরিবারভুক্ত একটি মাছ। এটি অ্যাবিসোব্রোটুলা গণের একমাত্র প্রজাতি। সমুদ্রের সবচেয়ে গভীর প্রাপ্ত মাছ হিসেবে এটি বিবেচিত। ১৯৭০ সালে এদের একটি সদস্যকে পুয়ের্টো রিকো খাতে, সমুদ্রের ৮,৩৭০ মিটার (২৭,৪৫৩ ফুট) গভীরে দেখতে পাওয়া যায়—যা এখন পর্যন্ত সমুদ্রের গভীরতম অংশে প্রাপ্ত মাছের রেকর্ড।[২][৩] প্রাণীবিদ স্টেইগার প্রদত্ত এই মাছের প্রথম উদাহরণটি ছিলে ভুল, এবং ১৯৭৭ সালে এর সঠিক উদাহরণটি প্রদান করেন প্রাণীবিদ জরগেন নিলসেন।[৪] এই মাছের প্রথম উপাত্তটি সংগ্রহ করে গবেষণা জাহাজ গ্যালাথি, এবং এর নাম অনুসারেই এ মাছের প্রজাতির নামকারণ গ্যালাথি করা হয়।[৫]
অ্যাবিসোব্রোটুলা গ্যালাথি | |
---|---|
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Actinopterygii |
বর্গ: | Ophidiiformes |
পরিবার: | Ophidiidae |
গণ: | Abyssobrotula নিলসেন, ১৯৭৭ |
প্রজাতি: | A. galatheae |
দ্বিপদী নাম | |
Abyssobrotula galatheae নিলসেন, ১৯৭৭ |
মোটামুটি অপ্রচলিত হলেও সকল গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ও নাতিশীতোষ্ণ মহাসাগরেই এই মাছের অস্তিত্ব আছে বলে জানা যায়। সমুদ্রের অ্যাবিসাল জোন ও হ্যাডাল জোনের নিচ থেকে, প্রায় ৩,১১০ মিটার (১০,২০৩ ফুট) গভীরতা থেকে এর বিচরণক্ষেত্র শুরু। যদিও প্রচলিতভাবে এটি সমুদ্রের নিম্নগামী তবুও এদের এক সদস্যকে পানামা উপসাগরে পানির তূলনামূলক উপরিভাগ থেকে ধরা হয়েছিলো।
খ্যাদ্যাভাস
সম্পাদনাএর খাদ্যতালিকায় রয়েছে পলিকিট ওয়ার্ম ও ক্রাস্টাশানের মতো যথাক্রমে অ্যানিলিডা ও আর্থ্রোপোডা পরিবারভুক্ত কীট।[৫] এদের বংশবৃদ্ধি হয় ওভিপ্যারোয়াস প্রক্রিয়ায়, অর্থাৎ এরা ডিমপাড়ে এবং ডিম থেকে বাচ্চা হয়। এদের ডিম জিলেটিনের মতো আঠালো পদার্থ দ্বারা পরস্পরের সাথে যুক্ত থাকে।[৬]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Knudsen, S. (২০১৫)। "Abyssobrotula galatheae"। The IUCN Red List of Threatened Species। IUCN। 2015: e.T60469175A60796740। ডিওআই:10.2305/IUCN.UK.2015-4.RLTS.T60469175A60796740.en। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭।
- ↑ McGrouther, M. (২০০৪)। "What is the deepest-living fish?"। Australian Museum website। Australian Museum। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-০৭।
- ↑ "Exploring the Deep: Deepest Fish"। Extreme Science website। Extreme Science। ১৯৯৮–২০০৮। ২০০৮-১২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-০৭।
- ↑ Ellis, R. (১৯৯৬)। Deep Atlantic: Life, Death, and Exploration in the Abyss। New York: Alfred A. Knopf, Inc। আইএসবিএন 1558216634।
- ↑ ক খ Nielsen, J.G. (১৯৭৭)। "The deepest living fish Abyssobrotula galatheae: a new genus and species of oviparous ophidioids (Pisces, Brotulidae)"। Galathea Report। 14: 41–48।
- ↑ টেমপ্লেট:Fishbase species