অস্ট্রিড লিনগ্রেন
অস্ট্রিড লিনগ্রেন (১৪ নভেম্বর ১৯০৭ – ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০২) ছিলেন একজন সুইডিশ কল্পকাহিনী লেখক ও চিত্রনাট্যকার। তিনি বেশ কিছু শিশুতোষ গল্পের বই লেখার জন্য পরিচিত যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, পিপি লঙস্টকিং, এমিল আই লোনবেরগা, কার্লসন অন দ্য রোপ, দ্য সিক্স বুলারবে চিলড্রেন, মিও, মাই সন, রোনিয়া, দ্য রোবার’স ডটার এবং ব্রাদার লিয়নহার্ট। লিনগ্রেন র্যাবেন ও জোগর্যান পাবিলিশিং হাউজের শিশু সাহিত্যের সম্পাদকীয় বোর্ডে ছিল এবং ৩০টি শিশুতোষ বই রচনা করেছেন। ২০১৭ সালের জানুয়ারির হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বই অনূদিত হওয়া লেখকদের তালিকায় তিনি ১৮তম এবং অনূদিত হওয়া বিশ্বের শিশুতোষ লেখকদের মধ্যে চতুর্থ। লিনগ্রেনের বই সারা বিশ্বে ১৬৫ মিলিয়নের মত বিক্রি হয়েছে।
অস্ট্রিড লিনগ্রেন | |
---|---|
জন্ম | অস্ট্রিড অ্যানা এমিলিয়া এরিকসন ১৪ নভেম্বর ১৯০৭ ভিমারবে, সুইডেন |
মৃত্যু | ২৮ জানুয়ারি ২০০২ স্টকহোম, সুইডেন[১][২] | (বয়স ৯৪)
পেশা | লেখক |
ভাষা | সুইডিশ |
জাতীয়তা | সুইডীয় |
সময়কাল | ১৯৪৪–১৯৯৩ |
ধরন | শিশুতোষ কল্পকাহিনী, চিত্রনাট্যকার |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | হ্যানস ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন পুরস্কার (১৯৫৮), রাইট লাইভলিহগুড পুরস্কার (১৯৯৪) |
প্রারম্ভিক জীবন
সম্পাদনালিনগ্রেন সুইডেনের ভিমারবের কাছে নাসে তার শৈশব অতিবাহিত করেন। তার বেশ কিছু বই তার শৈশব ও সেসময় কাটানো স্থানের বিষয় নিয়ে। তার পিতার নাম স্যামুয়েল অগাস্ট এরিকসন ও মাতার নাম হ্যানা জনসন। তার দুই বোন স্টিনা ও ইনগেগার্ড ও ভাই গানার এরিকসন, যিনি পরবর্তীতে সুইডেন সংসদের সদস্য হয়েছিলেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি স্থানীয় একটি সংবাদপত্রে কাজ শুরু করেন। পত্রিকার প্রধান সম্পাদকের সাথে তার সম্পর্ক ছিল কিন্তু উক্ত সম্পাদক বিবাহিত ছিলেন। পরবর্তীতে লিনগ্রেন গর্ভবতী হওয়ার পর তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলেও তিনি তা নাকচ করে দিয়ে স্টকহোমে স্থানান্তর হন। পরবর্তী লারস নামে কোপেনহেগেনে তিনি এক পুত্র সন্তানের মা হন এবং তাকেদত্তক দেন। পরবর্তীতে তিনি তার সন্তানকে তার পিতামাতার কাছে নিয়ে আসেন এবং তিনি নিজের তার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালে তিনি স্টুর লিনগেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।[৩]
১৯৩৪ সালে তিনি দ্বিতীয় সন্তান জন্মদান করেন। পিপি লঙস্টোকিং চরিত্রটি তিনি তার সন্তানকে ঘুম পাড়ানোর জন্য বানিয়ে গল্প করার জন্য তৈরি করেন। ১৯৪১ সালে তারাডালাগাটানের একটি ভবনে স্থায়ীভাবে চলে আসেন এবং ২০০২ সালের ২৮ জানুয়ারি তার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি এখানেই ছিলেন। তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে রাজা কার্ল XVI গোস্তভ ও তার রানী সিলভিয়া উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও রাজকীয় পরিবারের অনেক সদস্যসহ প্রধানমন্ত্রী গোরানপারসন উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ Lentz Iii, Harris M (২০০৩-০৪-০৯)। Obituaries in the Performing Arts, 2002: Film, Television, Radio, Theatre, Dance, Music, Cartoons and Pop Culture। আইএসবিএন 9780786414642।
- ↑ https://www.washingtonpost.com/archive/local/2002/01/29/astrid-lindgren-dies-at-94/d62b627d-cfcd-488f-8faf-2acd121a86db/
- ↑ Source – Steinar Mæland.[পূর্ণ তথ্যসূত্র প্রয়োজন]