অবোধ
অবোধ ১৯৮৪ সালে মুক্তি প্রাপ্ত একটি হিন্দি চলচ্চিত্র যেটি পরিচালনা করেছিলেন হীরেন নাগ। চলচ্চিত্রটি মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র এবং তাপস পাল অভিনীত প্রথম হিন্দি চলচ্চিত্র।[১][২][৩]
অবোধ | |
---|---|
পরিচালক | হীরেন নাগ |
প্রযোজক | তারাচাঁদ বড়জাত্যা |
শ্রেষ্ঠাংশে | তাপস পাল মাধুরী দীক্ষিত বিনোদ শর্মা |
সুরকার | রবীন্দ্র জৈন |
পরিবেশক | রাজশ্রী প্রোডাকশনস |
মুক্তি |
|
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
কাহিনি
সম্পাদনাগৌরী (মাধুরী দীক্ষিত) তার বাবা মায়ের সাথে ছোট একটি শহরে বাস করে। এক মেলায় তার সাথে শঙ্কর (তাপস পাল) নামের এক ছেলের সাথে ছোটখাটো ঝগড়া হয়। ঝগড়ায় শঙ্করের ঠাকুরমা (লীলা মিশ্রা) গৌরীর পক্ষাবলম্বন করেছিলেন ও শঙ্করকে তিরস্কার করেছিলেন। শঙ্করের ঠাকুরমা এক সন্ধ্যায় গৌরীকে প্রার্থনার সময় গান গাইতে দেখে গৌরীকে তার নাতবৌ হিসেবে মনে মনে পছন্দ করেন।
এরপর, গৌরীর বিয়ে ঠিক হয়। বিয়ের কথা শুনে গৌরী খুব খুশি হয়। কিন্তু, যখন সে জানতে পারে তার হবু বর শঙ্কর, তখন সে আশাহত হয়। পরে সে সবকিছু মেনে নেবার চেষ্টা করে। শঙ্করের বাড়িতে আসার পর সে শঙ্করের ভাইয়ের সাথে নিয়মিত খেলাধুলা শুরু করে ও এতে অনেক সময় ব্যয় করতে থাকে। এসব দেখে শঙ্কর বুঝতে পারে সে, গৌরীর এখনো পুরোপুরি মানসিক পরিপক্বতা আসে নি। সে তার সাথে ঘনিষ্ঠ হবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। একদিন সে বলপূর্বক গৌরীর সাথে ঘনিষ্ঠ হবার চেষ্টা করলে তাদের মাঝে আরো দূরত্বের সৃষ্টি হয়।
এরপর, গৌরীর বান্ধবী রত্নার (শীলা ডেভিড) বিয়ে হয়। রত্না বিয়ের পর নিজ বাড়িতে ফিরে আসলে একদিন গৌরী তার বান্ধবীকে দেখতে যায়। সেদিন রত্না তাকে স্বামী স্ত্রীর পবিত্র সম্পর্কের বিষয়টি তাকে বোঝায়। এরপর, সে বিয়ের গুরুতে বুঝতে পারে ও শঙ্করের কাছে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। আসার পর দে জানতে পারে যে, শঙ্কর কলেজে পড়াশোনা করার জন্য অন্য শহরে বসবাস করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বিষয়টি গৌরীকে নিজের কাছে অপরাধী করে তোলে।
কয়েক মাস শঙ্কর তার পরিবারকে কোনো খবর পাঠায় নি। এই সময়ে রত্না গৌরীকে তার শ্বশুরবাড়িতে দেখতে আসে। আসার পরে সে গৌরী আর তার স্বামীর মাঝে সৃষ্টি হওয়া দূরত্বের ব্যাপারে জানতে পারে। শঙ্করের বাবা গজানন সিং (বিনোদ শর্মা) তার ছেলের হোস্টেলে তার ছেলের সমাচার জানার জন্য যান। হোস্টেলে আসার পর তিনি জানতে পারেন শঙ্কর তার আসার আগের দিন হোস্টেল থেকে চলে গিয়েছে ও কবে আসবে সে ব্যাপারে কাউকে কিছু বলে নি। তিন মাস ধরে শঙ্কর নিরুদ্দেশ থাকে।
একদিন মেলায় শঙ্করের সাথে রত্নার দেখা হয়। রত্না শঙ্করকে জানায় যে, গৌরীর মাঝে আগের মত শিশুসুলভ মানসিকতা নেই। সে আরো জানায় যে, তার এরকম কর্মকাণ্ড গৌরীকে নিজের কাছে অপরাধী করে তুলেছে। শিশুসুলভ মানসিকতা বিশিষ্ট গৌরীকে এমন শাস্তি দেবার জন্য শঙ্করকে তিরস্কার করে সে। এরপর, শঙ্কর গৌরীর কাছে ফিরে আসে ও তারা একত্রে বসবাস করতে থাকে।
শ্রেষ্ঠাংশে
সম্পাদনা- তাপস পাল - শঙ্কর সিং
- মাধুরী দীক্ষিত - গৌরী
- বিনোদ শর্মা - গজানন সিং, শঙ্করের বাবা
- লীলা মিশ্রা - শঙ্করের ঠাকুরমা, গজাননের মা
- শীলা ডেভিড - রত্না
- রাজশ্রী নায়ার - রাজশ্রী
- সবিতা প্রভুনে - গৌরীর ভাবি
- দিনেশ হিঙ্গু - বিয়ের ফটোগ্রাফার
- মোহন ছোটি - মেলার ফটোগ্রাফার
- অশোক সারাফ - হনুমান
- সুন্দর পুরোহিত
সঙ্গীত
সম্পাদনা- "ঘানি ঘানি আমরাইয়া" - হেমলতা
- "ঘানি ঘানি আমরাইও (পার্ট-২)" - হেমলতা
- "তুঝে দেখনে কো তারাস্তি হ্যায় আঁখে ইয়ে দিল" - সুরেশ ওয়াড়কর
- "মন্দির কি মূর্তি সি বাইঠি" - হেমলতা, সুরেশ ওয়াড়কর
- "ঘির আয়ে মেঘ পর্বত পে বিজুরিয়া চামকে" - হেমলতা
- "সাম্ব সদা শিব, সাম্ব সদা শিব" - কে জে যেসুদাস
- "চন্দ্র বাল সবিতাম" - হেমলতা
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "জন্মদিনে মাধুরী দীক্ষিতের কিছু অদেখা ছবি"। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ১৫ মে ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "মাধুরী দীক্ষিতকে ভারত প্রথম দেখেছিল তাপসের সঙ্গে জুটিতেই, ফিরে দেখা 'অবোধ'"। এই সময়। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "তাপস পালের হাত ধরেই বলিউডে আসেন এই অভিনেত্রী !"। নিউজ১৮ বাংলা। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে অবোধ (ইংরেজি)