অবুঝ বউ
অবুঝ বউ ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বাংলা ভাষার নাট্য চলচ্চিত্র। ছায়াছবিটি পরিচালনা করেছেন নারগিস আক্তার। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ছোটগল্প সমাপ্তি অবলম্বনে ছায়াছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন পরিচালক নারগিস আক্তার।[১] ছায়াছবিটি প্রযোজিত ও পরিবেশিত হয় ইমপ্রেস টেলিফিল্ম-এর ব্যানারে। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রিয়াংকা।[২] এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ববিতা, ফেরদৌস আহমেদ, শাকিল খান, নিপুণ আক্তার, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, অমল বোস প্রমুখ। চলচ্চিত্রটি ৩৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনটি বিভাগে পুরস্কার লাভ করে।[৩]
অবুঝ বউ | |
---|---|
পরিচালক | নারগিস আক্তার |
প্রযোজক | ফরিদুর রেজা সাগর (নির্বাহী প্রযোজক) ইবনে হাসান খান(নির্বাহী প্রযোজক) |
চিত্রনাট্যকার | নারগিস আক্তার |
কাহিনিকার | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর |
শ্রেষ্ঠাংশে |
|
সুরকার | সুজেয় শ্যাম |
চিত্রগ্রাহক | শহীদুল্লাহ দুলাল |
সম্পাদক | মুজিবুর রহমান দুলু |
পরিবেশক | ইমপ্রেস টেলিফিল্ম |
মুক্তি | ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১০ |
স্থিতিকাল | ১৫৫ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
কাহিনী সংক্ষেপ
সম্পাদনাগ্রামের দস্যিস্বভাবের মেয়ে মৃন্ময়ী। সারাদিন গ্রামের এদিক ওদিক ছুটে বেড়ায়। বিলাত থেকে অপু গ্রামে আসে। নৌকা থেকে নামার পরপরই সে পিছলে পরে যায় এবং তা দেখে মৃন্ময়ীর দল হেসে কুটিকুটি। সেই দেখায় মৃন্ময়ীকে ভালো লাগে অপুর। অপুর মা তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্রী ঠিক করে রাখে। বাড়িতে আসার পর অপুর মা তাকে পাঠায় সেই পাত্রী দেখতে। কিন্তু সেখানেও হাজির হয় মৃন্ময়ী এবং সব উলট পালট করে দিয়ে আসে। অপুর মৃন্ময়ীর প্রতি ভালোলাগা বাড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে সে তার মাকে জানায়। মা-ছেলের মান অভিমানের পর রানী মা রাজি হন বিয়ে দেওয়ার জন্য। নিয়মানুযায়ী একদিন বিয়ে হয় তাদের। কিন্তু বিয়ের পরও তার দস্যিপনা কাটে না। তার ছেলেমানুষী স্বভাব স্বামী অপু মেনে নিলেও, শ্বশুরবাড়ির অন্য কেউ মেনে নিতে পারে না। ফলে মৃন্ময়ীর জীবন হয়ে উঠে বিষাদময়।
শ্রেষ্ঠাংশে
সম্পাদনা- ববিতা - রানী মা, অপুর মা ও মৃন্ময়ীর শাশুরি
- প্রিয়াংকা - মৃন্ময়ী
- ফেরদৌস আহমেদ - অপূর্বকৃষ্ণ রায় অপু
- নিপুণ আক্তার - কল্যাণী, অপুর বোন
- শাকিল খান - কল্যাণীর স্বামী
- মুক্তি - জবা
- ওয়াহিদা মল্লিক জলি - মৃন্ময়ীর মা
- অমল বোস - সরকার
- আমিনুর রহমান বাচ্চু - মাল বাবু, মৃন্ময়ীর বাবা
- রানী সরকার - খেমতি মাসী
- কেয়া চৌধুরী - সুকুমারী
- আমির সিরাজী - বড় বাবু
মুক্তি
সম্পাদনাঅবুঝ বউ ছায়াছবিটি প্রযোজনা করেন শহীদুর রহমান। পরবর্তীতে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ছায়াছবিটির স্বত্ব কিনে নেয় এবং চ্যানেল আইয়ে এর ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয় ২০১০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর। একই দিনে বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্সে ছায়াছবিটি মুক্তি দেওয়া হয়।[৪]
সঙ্গীত
সম্পাদনাছায়াছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সুজেয় শ্যাম। গীত রচনা করেছেন মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সুবীর নন্দী, শাকিলা জাফর, শুক্লা, ও মামুন।
গানের তালিকা
সম্পাদনানং. | শিরোনাম | গীতিকার | সুরকার | কণ্ঠশিল্পী | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|---|---|
১. | "আমি দস্যি মেয়ে" | মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান | সুজেয় শ্যাম | শাকিলা জাফর | |
২. | "বিয়ের সাজনে" | মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান | সুজেয় শ্যাম | মামুন ও শুক্লা |
পুরস্কার
সম্পাদনা৩৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার - নারগিস আক্তার
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক - সুজেয় শ্যাম
- বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ সম্পাদক - মুজিবুর রহমান দুলু[৫]
আরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "বিশ্বকবির 'সমাপ্তি' নিয়ে 'অবুঝ বউ' মুক্তি পাচ্ছে ঈদে"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ঢাকা, বাংলাদেশ। ২৫ আগস্ট ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ স্টাফ রিপোর্টার (২৫ নভেম্বর ২০১৩)। "ব্যস্ত হয়ে উঠছেন প্রিয়াংকা"। দৈনিক মানবজমিন। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৭ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা"। দৈনিক যায় যায় দিন। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ "অবুঝ বউ ছবির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার"। বাংলানিউজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বর ২, ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসে সেরারা পুরস্কৃত"। দৈনিক আজাদী। ঢাকা, বাংলাদেশ। ৪ এপ্রিল ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনা- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে অবুঝ বউ (ইংরেজি)
- বাংলা মুভি ডেটাবেজে অবুঝ বউ