অনিতা বসু
অনিতা বসু (১১ নভেম্বর ১৯৩২) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিযুগের নারী বিপ্লবী।[১][২]
অনিতা বসু | |
---|---|
জন্ম | ১১ নভেম্বর ১৯৩২ |
মৃত্যু | (বর্তমান ভারত) |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত) ভারত |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
পরিচিতির কারণ | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা |
রাজনৈতিক দল | নিখিল ভারত ফরওয়ার্ড ব্লক |
আন্দোলন | ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন |
আত্মীয় | বিনয় বসু |
জন্ম ও পরিবার
সম্পাদনাঅনিতা বসু ১৯৩২ সালে ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম অন্বিকাচরণ বসু। পৈতৃক নিবাস ঢাকা জেলার বিক্রমপুর। শিশুকাল থেকে সঙ্গীত ও নৃত্যশিল্পের অনুরাগী ছিলেন।[৩][৪] বিপ্লবী বিনয় বসু ছিলেন তাদের পারিবারিক আত্মীয়।
রাজনৈতিক জীবন
সম্পাদনা১৯৪৬ সালে ম্যাট্রিক পাশ করেন। সে সময় চারিদিকে রাজনৈতিক উত্তেজনা ছিল। তখন থেকেই স্বদেশের প্রতি মনোযোগ দেন। তিনি পাড়ার মেয়েদের নিয়ে গঠন করেন 'স্বাতি স্বেচ্ছাসেবিকা বাহিনী'। বিপ্লবী জ্যোতিষ জোয়ার্দার ময়মনসিংহে 'আজাদ হিন্দ ভলেন্টিয়ার্সে কোর' তৈরী করলে তাতে যোগ দিয়ে তিনি 'ঝাঁসি-বাহিনীর' শাখার ভারপ্রাপ্ত হন। ফরওয়ার্ড ব্লক দলে যোগদান করেন।
প্রতিরোধ আন্দোলন
সম্পাদনাভিয়েতনাম দিবস উপলক্ষে কলকাতায় যে মিছিল হয় তাতে পুলিশের গুলিতে যারা মারা যায় তার প্রতিবাদে ১৯৪৭ সালে ২২ জানুয়ারি ময়মনসিংহ শহরে ছাত্র শোভাযাত্রা বের হয় সেখানে ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মুক্তির জন্য তিনি তরুণ দল নিয়ে প্রতিবাদে আংশ নেন। জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে পুলিশ গুলি চালায়। অমলেন্দু ঘোষ নামে এক তরুন ছাত্র সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। অনিতা বসুর দুই পায়ে গুলি লাগে এবং তিনি মারাত্মক আহত হয়ে দু মাস হাসপাতালে থাকেন। তিনি ছাড়াও লক্ষ্মী দাস, মন্টু সেন, ভোলা মিঞা, দোলন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।[৩]
অন্যান্য কর্ম
সম্পাদনাঅনিতা বসু ১৯৫১ সালে বি.এ পাশ করেছিলেন। তিনি পরবর্তীকালে শরৎ চন্দ্র বসুর এস. আর. পি দলে যোগ দেন। নানা সমাজকল্যাণমূলক কাজের সাথে তার যোগ ছিল। সুভাষ সংস্কৃতি পরিষদ ও আজাদ হিন্দ এম্বুলেন্স সার্ভিসের সদস্যা ছিলেন।[৩]
তথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Netaji's daughter speaks!"। rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-০৯।
- ↑ "Divide in Netaji's family over Anita Bose Pfaff's air crash assumption"। hindustantimes.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-০৯।
- ↑ ক খ গ কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯। কলকাতা: র্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ২২৯-৩০। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0।
- ↑ "Netaji's daughter calls for DNA testing"। thehindu.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১১-০৯।