অনামিকা (সংবাদপত্র)
অনামিকা হল দক্ষিণ এশীয় লেসবিয়ান এবং উভকামী মহিলাদের জন্য একটি প্রাথমিক সংবাদপত্র।[১] এটি নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে প্রকাশিত হয়েছিল।[২] এটির প্রথম সংখ্যাটি ১৯৮৫ সালের মে মাসে কিছুজন লেসবিয়ান যৌথভাবে প্রকাশ করেছিলেন।[৩] ১৯৮৭ সালে এটি বন্ধ হওয়ার আগে তিনটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল।
প্রকাশক | অনামিকা সংকলন |
---|---|
প্রথম প্রকাশ | মে ১৯৮৫ |
সর্বশেষ প্রকাশ | ১৯৮৭ |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভিত্তি | ব্রুকলিন |
ভাষা | ইংরেজি |
এই যৌথ প্রযোজনা অনামিকা নামটি ব্যবহার করেছে। নয়ন শাহের মতে, "সংস্কৃত শব্দ অনামিকা যার অর্থ 'নামহীন', দক্ষিণ এশীয় ভাষায় দুই নারীর মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নামের অভাব পূরণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।"[৪]
এই সংবাদপত্রে সৃজনশীল লেখা, দক্ষিণ এশীয় লেসবিয়ানদের আখ্যান এবং শ্রীলঙ্কার সমকামী ব্যক্তিদের মত বিষয় সম্পর্কে নিবন্ধ রয়েছে। এছাড়াও, এতে দক্ষিণ এশিয়ার সমকামিতা সংক্রান্ত আইন সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে। অনুর মতে, অনামিকা "দক্ষিণ এশীয় লেসবিয়ানদের মুখোমুখি হওয়া ব্যবহারিক, রাজনৈতিক এবং তাত্ত্বিক সমস্যা নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনার জন্য একটি ফোরাম প্রদান করবে এই আশা নিয়ে এর প্রকাশ করা হয়েছিল।"[৫]
১৯৮৬ সালে, দুইজন সম্পাদক কন্ডিশন পত্রিকায় এই পত্রিকা সম্পর্কে লিখেছেন:
আমরা পত্রিকার দুটি সংখ্যা তৈরি করেছি—প্রথমটি মে '৮৫তে এবং দ্বিতীয়টি মার্চ '৮৬তে। এর নাম অনামিকা। এর মাধ্যমে আমরা দক্ষিণ এশিয়ার (ভারতীয়, পাকিস্তানি, বাংলাদেশি, শ্রীলঙ্কান, ভুটানি, নেপালি, বার্মিজ এবং আফগানি) লেসবিয়ানদের সাথে দক্ষিণ এশিয়া এবং অন্যান্য দেশে বসবাসকারী লেসবিয়ানদের সাথে সংযোগ স্থাপনের আশা করছি। আমাদের নেটওয়ার্ক বাড়ছে। এই কয়েকটি দেশের মহিলাদের সাথে ব্যক্তিগত আলোচনার মাধ্যমে আমরা আরও বেশি সংখ্যক লেসবিয়ান সম্বন্ধে জানতে পেরেছি। ভারতের নারী আন্দোলনের কিছু অংশও এই সংখ্যায় আরও খোলামেলা হচ্ছে। ক্যালিফোর্নিয়ার দুই সমকামী ভারতীয় ব্যক্তির দ্বারা ট্রিকন নামে আরেকটি দক্ষিণ এশিয়ান গে এবং লেসবিয়ান জার্নাল প্রকাশিত হচ্ছে। অনামিকা অনেক উৎসাহী প্রতিক্রিয়া পেয়েছে, এবং সে চায় যে, সমস্ত কাজ করার জন্য তার যথেষ্ট সময়, শক্তি এবং আর্থিক সংস্থান থাকুক।[৬]
অনামিকাকে দক্ষিণ এশিয়ার মহিলাদের বিনামূল্যে ডাকে পাঠানো হয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাসিন্দাদের জন্য পত্রিকার তিনটি সংখ্যার মূল্য ইউএস$ ৫.০০ ধার্য করা হয়েছিল, ডাকে টাকা পাঠিয়ে তাঁদের সদস্যতা কিনতে বলা হয়েছিল।[৭] প্রথম সংখ্যার প্রকাশনাটি পূর্ব উপকূলের এশিয়ান লেসবিয়ানদের (এএলওইসি) অনুদান দ্বারা সমর্থিত হয়েছিল।[৮]
প্রকাশিত সংখ্যা
সম্পাদনাআরও দেখুন
সম্পাদনাতথ্যসূত্র
সম্পাদনা- ↑ "Magazines and Journals"। Orinam। Orinam। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৫-৩০।
- ↑ "United States"। ১৯৮৯: 31।
- ↑ Ordona, Trinity (২০০২)। Coming Out Together: An Ethnohistory of the Asian and Pacific Islander Queer Women's and Transgendered People's Movement of San Francisco। 2012। আইএসবিএন 978-0415978088।
- ↑ ক খ Shah, Nayan (১৯৯৮)। "Sexuality, Identity, and the Uses of History"। Q & A: Queer in Asian America।
- ↑ Lillian Faderman (২০ আগস্ট ২০১৩)। Odd Girls and Twilight Lovers: A History of Lesbian Life in Twentieth-Century America। Columbia University Press। আইএসবিএন 978-0-231-53074-3।
- ↑ Khayal; Utsa (১৯৮৬)। "There Are, Always Have Been, Always Will Be Lesbians in India": 145। আইএসএসএন 0147-8311। ওসিএলসি 3232386। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৬ – Independent Voices-এর মাধ্যমে।
- ↑ Anu (১৯৮৭)। "Sexuality, Lesbianism and South Asian Feminism"। Anthology by Pacific/Asian Lesbians of Santa Cruz, California।
- ↑ Anderson, Shelley (১৯৯১)। Out in the World: International Lesbian Organizing (ইংরেজি ভাষায়)। Firebrand Books। পৃষ্ঠা 20। আইএসবিএন 978-1-56341-005-5।
- ↑ ক খ Anamika। ওসিএলসি 61120598।
- ↑ Lillian Faderman (২০ আগস্ট ২০১৩)। Odd Girls and Twilight Lovers: A History of Lesbian Life in Twentieth-Century America। Columbia University Press। পৃষ্ঠা 358। আইএসবিএন 978-0-231-53074-3।