অতিবেগুনী রশ্মি এক ধরনের তড়িৎ-চুম্বকীয় বিকিরণ যার তরঙ্গদৈর্ঘ্য দৃশ্যমান আলোর চেয়ে ছোটো এবং রঞ্জন রশ্মির চেয়ে বড়। এই রশ্মির তরঙ্গদৈর্ঘ্য ১০ ন্যানোমিটার থেকে ৪০০ ন্যানোমিটার এবং শক্তি ৩ ইলেকট্রন-ভোল্ট থেকে ১২৪ ইলেকট্রন-ভোল্ট।এটি রংধনুতে বেগুনি রঙের আগে থাকে যা পোকামাকড় দেখতে পায়।

বৈদ্যুতিক ওয়েল্ডা থেকে ইউভি রশ্মি নির্গত হয়, ওয়েল্ডার যিনি করেন তিনি অতিবেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে বাঁচাতে আই প্রোটেক্টর ব্যবহার করেন

অতীবেগুনী রশ্মির ব্যবহার

সম্পাদনা

তরঙ্গদৈর্ঘ্য অনুসারে[]

  • ৩০-২০০ ন্যানোমিটার:UV-ফটোইলেকট্রন স্পেকট্রোস্কোপি
  • ২৩০-৩৬৫ ন্যানোমিটার: UV-পরিচয়পত্র, বারকোড, লেবেল সনাক্তকরণ।
  • ২৩০-৩৮০ ন্যানোমিটার: আলোক সম্বন্ধীয় সেন্সর, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরী্তে।
  • ২৪০-২৮০ ন্যানোমিটার: জীবাণুনিরোধ, জিনিসপত্রের আবরণ এবং পানির পরিশোধন (সবোচ্চ ডিএনএ পরিশোষণ হয় ২৬০ ন্যানোমিটার)।
  • ২০০-৪০০ ন্যানোমিটার: ফরেন্সিক বিশ্লেষণ, মাদক সনাক্তকরণ।
  • ২৭০-৩৬০ ন্যানোমিটার: প্রোটিন বিশ্লেষণ, ডিএনএ সংশ্লেষণ, ঔষধ আবিষ্কার।
  • ২৮০-৪০০ ন্যানোমিটার: কোষের চিকিৎসা-শাস্ত্রগত‌ ইমেজিং।
  • ৩০০-৪০০ ন্যানোমিটার: Solid-state lighting
  • ৩০০-৩৬৫ ন্যানোমিটার: পলিমারের সংস্কার এবং মুদ্রণযন্ত্রের কালি।
  • ৩০০-৩২০ ন্যানোমিটার: আলোক নিরাময় চিকিৎসা।
  • ৩৫০-৩৭০ ন্যানোমিটার: পোকা আকৃষ্ট করতে (মাছি ৩৬৫ ন্যানোমিটার আলোতে সর্বাপেক্ষা আকর্ষিত হয়)।

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "www.s-et.com"। ২০ আগস্ট ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১০